বাংলা ট্রিবিউন: কাউন্সিলের প্রস্তুতি সম্পর্কে বলুন।
আবদুল্লাহ আল নোমান: প্রস্তুতি ৯৫ শতাংশ শেষ। আমার প্রকাশনার কাজ প্রায় শেষ। শুক্রবারের মধ্যে সব প্রকাশনা চলে আসবে। অন্য কমিটিগুলোও কাজ শেষ করে এনেছে। এছাড়া শেষ মূহুর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি পেয়েছি। এটি আরও আগে হলে প্রস্তুতি নেওয়া যেত। তবে কাউন্সিলরদের বসানোর জন্য এখন সেখানে স্থান দেওয়া যাবে।
বাংলা ট্রিবিউন: কয়টি প্রকাশনা থাকবে কাউন্সিলে?
আবদুল্লাহ আল নোমান: ছোটবড় মিলিয়ে অন্তত ১২টি। এর মধ্যে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জীবন ও কর্ম, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জীবন ও কর্ম, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জীবন ও কর্ম, বিএনপির রাজনৈতিক ইতিহাস, রাষ্ট্র পরিচালনায় বিএনপির অবদান, বিএনপির আদর্শ-রাজনীতি ও নেতৃত্ব নিয়ে বুদ্ধিজীবীদের মূল্যায়ন নিয়ে এসব বই প্রকাশ করা হবে। বিগত ৮ বছরে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার দেয়া ভাষণের সংকলন, বর্তমান সরকারের আমলে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের গুম-খুন-নির্যাতন এবং সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন ও তাদের সম্পদ লুণ্ঠন নিয়ে কয়েকটি প্রকাশনা থাকবে। রাজনীতি গবেষক ও বিশ্লেষকদের সুবিধার্থে খালেদা জিয়ার ভাষণের সংকলনটি করা হবে। এ ছাড়া প্রকাশনার অন্যতম আকর্ষণ থাকবে বিএনপির ইতিবাচক রাজনীতি ও আওয়ামী লীগের নেতিবাচক রাজনীতি এবং মহাজোট সরকারের নানা অপকর্ম, দুর্নীতির নিয়ে অঙ্কিত একটি কার্টুনের সংকলন।
বাংলা ট্রিবিউন: কাউন্সিলে কি পুরো নির্বাহী কমিটি বা স্থায়ী কমিটি গঠন হবে?
আবদুল্লাহ আল নোমান: ইতোমধ্যে আমাদের দলের চেয়ারপারসন হিসেবে খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তারেক রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। এখন কাউন্সিলরা চেয়ারপারসনকে ক্ষমতা দিলে এবং সেই ক্ষমতা তিনি গ্রহণ করলে হবে। আবার যদি সেটি না হয়, সরাসরি ভোট হবে। মহাসচিব হিসেবে নির্বাচন হবে। তবে পুরো বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। কাউন্সিলের বাইরে কিছু করা যাবে না। এটা তাদের অনুমোদন সাপেক্ষেই হতে হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: কাউন্সিলে এছাড়া আর কি থাকছে?
আবদুল্লাহ আল নোমান: কাউন্সিলে চেয়ারপারসনের বক্তব্য তৈরি হয়ে গেছে। গঠনতন্ত্র সংশোধন হলে সেটি উপস্থাপন করা হবে। স্থায়ী কমিটি অনুমোদন দিলে সেটি কাউন্সিলে উত্থাপিত হবে। ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করবেন। এগুলো রাজনৈতিক দলের রীতি। এছাড়া গঠনতন্ত্র পরিবর্তন বা পরিবর্ধন হলে সেটি কাউন্সিলরা মনে করলে পাশ করবেন।
বাংলা ট্রিবিউন: সম্মেলন নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ কি রকম?
আবদুল্লাহ আল নোমান: আমরা নিজেরাই যোগাযোগ করছি। তারাও আসছে। তাদের সহযোগিতা আমরা চাই। সর্বশেষ উদ্যানের অনুমতি নিয়ে বিপদে ছিলাম। এখন কেটে গেছে।
বাংলা ট্রিবিউন: সম্মেলনের বাজেট নিয়ে বলেছিলেন, বিএনপি এ নিয়ে ঝামেলায় আছে, সেটি কি কেটেছে?
আবদুল্লাহ আল নোমান: বাজেট নিয়ে সমস্যা ছিল। আমরা এখনও কোনও সুনির্দিষ্ট কোনও অ্যামাউন্ট ঠিক করিনি। যেমন আমার প্রকাশনার কাজ আমি করছি, পরে সমন্বয় করা হবে। এছাড়া অর্থনৈতিকভাবে বিরোধী দল হিসেবে তো বিপদেই আছি। ইচ্ছা থাকলেও অনেকে সহযোগিতা করতে পারছে না। সরকারের নজরদারি আছে।
বাংলা ট্রিবিউন: সম্মেলনে বিদেশি অতিথি কারা আসছেন?
আবদুল্লাহ আল নোমান: এখনও এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারিনি। এ বিষয়ে শুক্রবার দুপুর নাগাদ জানা যাবে।বিদেশিরা তো এক কথার মানুষ। কাল পরিষ্কার জানা যাবে কারা আসবেন। যারা আসবেন তারা জানাবেন। তবে এরই মধ্যে আমাদের প্রবাসী নেতাকর্মীরা নিজ উদ্যোগে চলে এসেছেন। তারা আসবেন।
বাংলা ট্রিবিউন: কাউন্সিলের পরই নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনের যাবে বিএনপি? আবদুল্লাহ আল নোমান: কাউন্সিলের পরই আসবে কী না, সেটি তো এখনও আলোচনায় নেই। তবে কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দিবেন। কাউন্সিলররা প্রস্তাব করবেন। প্রস্তাব অনুযায়ী পরবর্তী আন্দোলনের করণীয় নির্ধারণ হবে।
বাংলা ট্রিবিউন: আপনাকে ধন্যবাদ। আশাকরছি আপনাদের কাউন্সিল সফল হবে।
আব্দুল্লাহ আল নোমান: ধন্যবাদ। আশাকরছি বাংলা ট্রিবিউনসহ সব গণমাধ্যমের সহযোগিতা পাবো আমরা।
/এসটিএস/টিএন/