‘সৈয়দ আবুল মকসুদের ইতিহাসবোধ ছিল প্রগাঢ়’

প্রয়াত লেখক ও গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর আলোচনা অনুষ্ঠানে বিশিষ্টজনেরা বলেছেন, সমাজের বড় বড় ব্যক্তিদের ন্যায্য সমালোচনা করতে কুণ্ঠিত হননি সৈয়দ আবুল মকসুদ। আমাদের জাতীয় জীবনের প্রতি তার একটা টান ছিল। তার অনুসন্ধানী মন ও ইতিহাসবোধ ছিল প্রগাঢ়।

শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে ‘বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রম ও বিশ্বাসহীনতা’ শিরোনামে ওই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সৈয়দ আবুল মকসুদের রচিত গ্রন্থের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করেন বিশিষ্টজনেরা।

সৈয়দ আবুল মকসুদের ‘বাঙালি মুসলমানের বুদ্ধিবৃত্তিক বিভ্রম ও বিশ্বাসহীনতা’ গ্রন্থের বিষয়বস্তু নিয়ে কথা বলেন গবেষক কুদরত-ই-হুদা। তিনি বলেন, ‘ষাটের দশক সম্পর্কে ইতিহাসের মহাবয়ানে যেসব প্রশ্ন ও ফাঁকফোকর আছে, তা নিয়ে কাজ করতে চেয়েছে এই গ্রন্থ। আমাদের জাতীয়তাবাদী অভিযাত্রা ও পাকিস্তান পর্ব নিয়ে ক্ষীণধারার বয়ানে বইটি রচিত। অবিভক্ত বাংলায় হিন্দু-মুসলমান সম্পর্ক, দেশভাগ ও পাকিস্তান সৃষ্টির প্রথাগত ইতিহাসের বাইরে গিয়ে বিষয়গুলো দেখতে চেয়েছেন সৈয়দ আবুল মকসুদ। জানা-শোনা বিষয়গুলোতে তথ্য-উপাত্ত সন্নিবেশ করে নিজের মন্তব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। সৈয়দ আবুল মকসুদের আলোচ্য গ্রন্থটিকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম সারির বুদ্ধিজীবীরা মনে করেন, রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন সমস্যা সমাধান হলো সাম্রাজ্যবাদ, পুঁজিবাদ, সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করা। এর চেয়ে বরং বর্তমান সময়ের পরিবেশ, সংকট দেখে সমাধানের পথ বের করা উচিত। কিন্তু সেটা হয়ে ওঠেনি।’

লেখক ইমরান মাহফুজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন প্রাবন্ধিক আহমাদ মাযহার।