ওয়াজের ওপর নজরদারির নামে আলেমদের কণ্ঠরোধ চলবে না, কর্মশালায় বক্তারা

দেশের মুসলমানদের চরিত্র ও ঈমান ধ্বংস করার নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ইসলামি বক্তারা। তারা বলেন, ওয়াজ মাহফিলসহ ইসলামি সভা-সেমিনারের ওপর নজরদারির নামে কেউ যদি আলেমদের কণ্ঠরোধের দুঃস্বপ্ন দেখেন তাহলে তা কোনোদিনই পূরণ হবে না। কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক ইসলামি বক্তাদের কর্মশালায় এসব কথা বলা হয়। শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর ) রাজধানীর বিএমএ মিলনায়তনে দিনব্যাপী ‘ওয়ায়েজ, খতিব ও দায়ী ওলামায়ে কেরামের করণীয়’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।

সভায় বক্তারা বলেন, এ দেশের আপামর মুসলিম তৌহিদী জনতার চরিত্র ও ঈমান ধ্বংস করার সব আয়োজন ও নানামুখী ষড়যন্ত্র অব্যাহত রয়েছে। নানা রকমের বিজাতীয় সংস্কৃতি ও সভ্যতার রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার কারণে আমাদের প্রজন্ম বিপথগামী ও নাস্তিকরূপে গড়ে উঠছে। আধিপত্যবাদী শক্তি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নস্যাতের অপচেষ্টা করছে। এসব ষড়যন্ত্র ও অপতৎপরতার বিরুদ্ধে আলেমদেরকে সজাগ থাকতে হবে।

মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান জানান, কর্মশালায় বক্তাদের বৃহৎ প্লাটফর্ম ‘ইত্তেফাকুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ’র নাম পরিবর্তন করে ‘রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ’ নামকরণ করা হয়েছে। এছাড়া সংগঠনটির পুরনো কমিটি ভেঙে মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজীকে সভাপতি ও মাওলানা হাসান জামিলকে সেক্রেটারি করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

তিনি আরও জানান, গণমাধ্যমের জন্য আজকের অনুষ্ঠান ওপেন ছিল। কমিটির উপদেষ্টা মাওলানা মামুনুল হক ও মাওলানা খালিদ সাইফুল্লাহ আইয়ূবীর যৌথ সঞ্চালনায় অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান (পীর সাহেব দেওনা) কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন।

কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় হাজারখানেক নির্বাচিত ওলামায়ে কেরাম এবং খতীবগণ অংশগ্রহণ করেন। এতে উল্লেখযোগ্য, মাওলানা আব্দুল হামিদ পীর সাহেব মধুপুর, মুফতী দেলাওয়ার হোসাইন, মাওলানা মাহফুজুল হক, ডক্টর আ ফ ম খালিদ হোসাইন, মাওলানা ইমরান মাজহারী, জামিয়া ইউনুসিয়ার মুহতামিম মাওলানা মুবারকুল্লাহ, মাওলানা সাজিদুর রহমান, মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবীব, মাওলানা আব্দুল বাসেত খান সিরাজগঞ্জী, মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী, মাওলানা হাসান জামিল, মুফতি সাখাওয়াত হোসাইন রাজি, মাওলানা হামিদ জাহেরী, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আল আযহারী, মুফতি মুরতাজা হাসান ফয়েজী, মাওলানা আব্দুর রহিম আল মাদানী, মাওলানা রাফি বিন মুনির, মাওলানা ইসমাইল মেখল, মুফতি লোকমান মাযহারী, মুফতি আবু ইউসুফ মাহমুদী, মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, মুফতি হাবিবুর রহমান মিয়াজী, মাওলানা নোমান সাদি, মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ হামিদী, মুফতি রিজওয়ান রফিকী, মাওলানা আমজাদ হোসাইন আশরাফী, মুফতি ওমর ফারুক যুক্তিবাদী, মাওলানা আব্দুল খালেক শরিয়তপুরী, মুফতি ইমরান বারী সিরাজী, মুফতি নেয়ামতুল্লাহ আমিন, মুফতি নাসির বিন আসগর, মুফতি আবুল কালাম তৈয়বীসহ আরো অনেক বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন মুফতি মিযানুর রহমান সাঈদ, মাওলানা খোরশেদ আলম কাসেমী, মুফতি আহমদ আলী, মুফতি হাবিবুর রহমান মিসবাহ, মুফতি এনায়েতুল্লাহ, মুফতি আব্দুর রাজ্জাক কাসেমী প্রমুখ।

আরও পড়ুন:
ওয়াজ মাহফিলে যে বক্তাদের নিয়ে আপত্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের

ওয়াজ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬ সুপারিশ, বক্তাদের ওপর কর আরোপের প্রস্তাব

ওয়াজ মাহফিল কি পেশায় পরিণত হচ্ছে?

‘আল্লাহ বলেন নো-নো, মুসা বলেন ইয়েস-ইয়েস’

ওয়াজ মাহফিলের যত ধারা

ওয়াজ রাজনীতি একাকার

ওয়াজ মাহফিল কীভাবে প্রভাব ফেলছে, শ্রোতা কি বাড়ছে?