খোকাকে শেষ শ্রদ্ধা জানায় গণফোরাম, সিপিবি, এলডিপি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ জাসদ, বাসদ, জাতীয়তাবাদী মহিলা দল, গণসংহতি আন্দোলন, মনোবিজ্ঞান অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, জাগপা, তাঁতী দল, জাতীয় হিন্দু মহাজোট, ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠী, ছাত্র ইউনিয়ন, জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল, বাংলাদেশ যুব সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন।
শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি অনেকে এই মুক্তিযোদ্ধার রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন সফলতার কথাও তুলে ধরেন। আবার কেউ কেউ সাদেক হোসেন খোকাকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট না দেওয়ায় সরকারের সমালোচনা করেন।
শ্রদ্ধা জানিয়ে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘বিভিন্ন আন্দোলনে ঢাকার রাজপথে খোকার সহযোদ্ধা ছিলাম। এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় পুলিশের উদ্দেশে বুক পেতে দিয়ে খোকা বলেছিলেন, গুলি করো, আমার এখানে গুলি করো। তার জোরালো কণ্ঠের ফলে পুলিশ তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিল। বাবরি মসজিদ ভাঙার পর পুরান ঢাকায় হিন্দুদের বাড়িঘর, মন্দির রক্ষাতেও তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘যে দেশের জন্য তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেছেন, তার পাসপোর্টের জন্য তাকে দূতাবাসে ধরনা দিতে হয়েছে। সেটা কি প্রমাণ করে না, আমরা কি সম্মান তাকে দিয়েছি? সাদেক হোসেন খোকার শেষ ইচ্ছা ছিল, যে দেশ তিনি স্বাধীন করেছেন, সে দেশের আলো-বাতাস, পশু-পাখির সুন্দরের মধ্যে তার শেষ নিঃশ্বাস নেবেন। তাকে বিদেশি নাগরিকের মতো ট্রাভেল ভিসায় দেশে আনা হয়েছে, এটা তো আমাদেরই আক্ষেপ হওয়া উচিত।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে ইশরাক বলেন, ‘আপনি আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়ার জামিনের যে বাধাগুলো রয়েছে সেগুলো এবং প্রশাসনিক হ্স্তক্ষেপ দূর করুন। আপনার (শেখ হাসিনা) আশপাশে যেসব স্বার্থবাজ আছেন, তাদের বাদ দিয়ে একান্তে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলুন। কথা বলে দেশের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা ঠিক করে দিয়ে যান। কারণ আমরা নতুন প্রজম্ম চাই না, আমাদের পরিবারের মতো আরেকটি পরিবার বা অন্যসময় আাওয়ামী লীগের কোনও পরিবার রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হোক।’
শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, জেএসডির সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর, চিত্রনায়ক উজ্জ্বল প্রমুখ।
আরও পড়ুন:
সংসদ ভবনে খোকার দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত
খোকার মরদেহে মেয়র আতিকের শ্রদ্ধা