বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সরকারের লুটপাটের বহিঃপ্রকাশ: মির্জা ফখরুল

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরবিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত সরকারের লুটপাটের বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এর নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে দলের সহ-দফতর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ দাবি জানান।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘জনবিচ্ছিন্ন সরকার গণমানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা না করে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ালো।’ তিনি এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘বর্তমান বিনাভোটের সরকার জবাবদিহির তোয়াক্কা করে না বলেই একের পর এক গণবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছে। ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ৩৬ পয়সা। দাম বাড়ানোয় জনগণের নাভিশ্বাস উঠলেও সরকার তা পরোয়া করে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুর্নীতি ও লুটপাটের ওপর সরকার নির্ভর করায় জনগণের কষ্টের কথা বিবেচনায় না নিয়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। এর আগেও কয়েকবার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোয় দেশের মানুষ যখন ক্ষুব্ধ তখন নতুন করে আবারও দাম বাড়ানোয় জনগণ দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।’
মির্জা ফখরুল দাবি করেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় বলেই বর্তমান সরকার জনগণের ভালো-মন্দ বিচার করতে চায় না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘সরকারের উন্নয়ন বুলির আড়ালে লুটপাটের মহোৎসবের কাহিনি এখন মানুষের মুখে মুখে। এই দাম বাড়ানোয় অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। স্বল্প আয়ের বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীরা দুর্বিষহ অবস্থায় পড়বে। কলকারখানা ও কৃষিতে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হবে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকারের প্রতিটি নীতি হচ্ছে হরিলুটের নীতি। জনগণ মরে যাক, তাতে সরকারের কিছুই আসে যায় না। গণবিরোধী সরকারের অঙ্কটি খুবই সোজা। তারা চুরি করে ক্ষতির টাকা জনগণের পকেট থেকে কর্তন করবে।’
তিনি অবিলম্বে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় রাজপথে নেমে জনগণ এর প্রতিবাদে সোচ্চার হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।

আরও পড়ুন...
বিদ্যুতের দাম ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বাড়লো