বাবুর মৃত্যুতে শোকাহত রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা

শফিউল বারী বাবুবিএনপি নির্বাহী কমিটির সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি শফিউল বারী বাবুর মৃত্যুতে শোকাহত তার রাজনৈতিক সহকর্মীরা। তার মৃত্যুতে নিজ দল বিএনপির নেতাকর্মীদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারাও শোক জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) ভোরে রাজধানীর একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বাবু। তার মৃত্যু পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়।

বাবুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান মো. বরকত উল্লাহ বুলু, মো. শাহজাহান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূঁইয়া, জয়নাল আবেদীন ফারুক, মাহবুবের রহমান শামীম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী।

বিবৃতিতে তারা বলেন, তিনি ছিলেন একজন অকুতোভয় জাতীয়তাবাদী সৈনিক। তার এই অসময়ে চয়ে যাওয়ায় দেশ ও দলের যে অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে, তা কখনও পূরণ হবার নয়।

বাবুর মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী ও সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু। তারা বলেন, বাবু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একজন নিষ্ঠাবান কর্মী ও নেতা ছিলেন। তার অমায়িক ব্যবহার, বিনয় ও দৃঢ়তা তাকে অল্প সময়ে ছাত্রনেতা থেকে দলের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে আসীন করেছে। তার এই মৃত্যু রাজনৈতিক অঙ্গনের জন্য বড় ক্ষতি।

বাবুর মৃত্যু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শোক জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি লিয়াকত সিকদার ও মাহমুদুল হাসান রিপন।

ছেলে ও মেয়ের সঙ্গে বাবুর একটি ছবি নিয়ে লিয়াকত সিকদার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তাকাতে পারি না ছোট সন্তানের ছবির দিকে। বাবুর সঙ্গে অনেক স্মৃতি, সুহৃদ, কেন এমন হয়। মর্মাহত, খুব বেশি অস্থির লাগছে। তার কথা কখনোই ভোলার নয়।’

মাহমুদুল হাসান রিপন বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগের দায়িত্ব পালনের সমসাময়িক সময়ে তিনি ছাত্রদলের দায়িত্বে ছিলেন। আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করুন।’