সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, দেশ পরিচালনায় অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার কারণে জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। কারণ অনির্বাচিত সরকার অনেক ক্ষেত্রেই সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।
বুধবার (১৪ মে) বিকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে মহানগরী সাংস্কৃতিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে হাজী শাহাবুদ্দিন বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এহছানুল হক মিলন বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে যারা, চট করে ঢুকে যেতে চায়, চলমান আন্দোলনে তাদের ইন্ধন রয়েছে। আমরা এই সরকারকে ব্যর্থ হতে দিতে চাই না। কারণ ড. ইউনূস একজন বিশ্ব বরেণ্য মানুষ। আমরা চাই তিনি জনগণের গণতান্ত্রিক প্রত্যাশাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নির্বাচনের রোডম্যাপের দিকে ধাবিত হবেন।
তিনি বলেন, পাকিস্তানিদের হাতে নিষ্পেষিত হতে হতে আমরা মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীনতা লাভ করেছি। সেখানেও ছিল গণতন্ত্রের লড়াই।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করেছিল রাজনৈতিক দলগুলো। এবার আন্দোলনের পর ছাত্ররা পড়াশোনা থেকে দূরে সরে গেছে। অথচ অতীতে প্রতিটি ছাত্র আন্দোলনে সাফল্য অর্জনকারী শিক্ষার্থীরা পড়ার টেবিলে ফিরে গেছেন। আর এখনকার ছাত্রনেতারা ক্লাসে ফিরে যেতে চান না। তারা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে চান। কিন্তু এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে রাজি নন।
তিনি প্রশ্ন রাখেন, সবাই যদি রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন, তাহলে আমাদের শিক্ষাঙ্গনের পরিস্থিতি কী হবে? তা নিয়ে ভাবতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ছাত্র জীবনে সঠিকভাবে একাডেমিক ও নৈতিক জ্ঞান অর্জন করতে হবে। প্রতিটি মুহূর্তে শিখতে হবে।
তিনি পরীক্ষা ছাড়া পাশের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিকে সমালোচনা করেন।