আল্লামা শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না: মুফতি ওয়াক্কাছ

১১হেফাজতে ইসলামের আমির ও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার সাবেক মহাপরিচালক আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যুকে অস্বাভাবিক আখ্যা দিয়ে এর বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি মুফতি মুহাম্মদ ওয়াক্কাস।

শুক্রবার (২০ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল ও সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি দাবি জানান।

আল্লামা শফীর মৃত্যুর আগের দুই দিন হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র বিক্ষোভকে বহিরাগত উসকানি আখ্যায়িত করে এটিরও বিচারের দাবি জানান ওয়াক্কাছ।

তিনি বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলতে চাই, আল্লামা আহমদ শফী সাহেবের মৃত্যু স্বাভাবিক ছিল না। একটি শক্তি হাটহাজারী মাদ্রাসায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে, যার পরিণতিতে আহমদ শফী সাহেবের নির্মম মৃত্যু হয়েছে। যেটা বলবো, অস্বাভাবিক মৃত্যু, স্বাভাবিক মৃত্যু ছিল না।’

পুরো বিষয়টির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করে মুফতি ওয়াক্কাস বলেন, ‘যদি এটি বিনা বিচারে ছেড়ে দেওয়া হয়, তাহলে পুরো কওমি অঙ্গনে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়বে। আল্লামা শফীর এমন নির্মম মৃত্যু মেনে নেওয়া যায় না। এর জন্য আমি বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানাই।’

ছাত্র জমিয়তের  সহ-সভাপতি হাফেজ শাব্বির আহমদ রাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন—জমিয়ত মহাসচিব মাওলানা শেখ মুজিবুর রহমান, মাওলানা শহীদুল ইসলাম আনসারী,মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, মাওলানা আব্দুল হক কাউসারী, মুফতি জাকির হোসাইন খান, মাওলানা ওয়ালী উল্লাহ আরমান, মুফতি রেজাউল করীম, মাওলানা বেলায়েত ফিরোজী, মুফতি রেদওয়ানুল বারী সিরাজী, মাওলানা আবু বকর সরকার, মাওলানা আব্দুস সালাম, মুফতি কামরুজ্জামান কাসেমী, মুফতি মুশতাক ফোরকানী, মাওলানা হাসান আল মামুন প্রমুখ।

কাউন্সিলে সুহাইল আহমদকে সভাপতি, নিজাম উদ্দিন আল আদনানকে সাধারণ সম্পাদক ও সাজ্জাদ আহমদকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন করা হয়।