মির্জা কাদেরের ‘বিষোদগার থেকে মুক্তি’ চান একরাম-নিজাম

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই নোয়াখালী কোম্পানীগঞ্জের পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ‘সত্য বচনের’ নামে যে বিষোদগার করছেন, সেটা থেকে ‘মুক্তি’ চান সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী। এ বিষোদগারের পরিসমাপ্তি না হলে দলের সঙ্গে দুই সাংসদের ব্যক্তি ইমেজও ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করেন তারা।

নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর সাংসদ নিজাম উদ্দীন হাজারী কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে এক্ষেত্রে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সম্প্রতি ফেনীর সাংসদ নিজাম হাজারী ও নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ও দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এবং সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। সরকারি দলের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদের এমপির কার্যালয়ে এ বৈঠক করেন তারা।

বৈঠকে সরকারি দলের ওই দুই সদস্য বলেন, কোম্পানীগঞ্জের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে সামাজিকভাবে তারা বিব্রত। এ ছাড়া বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তি করা গেলে দলের জন্যই মঙ্গল।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী-১ আসনের সাংসদ এইচ এম ইব্রাহিম, ৩ আসনের মামুনুর রশীদ কিরণ, ৪ আসনের একরামুল করিম চৌধুরী, ৬ আসনের আয়েশা ফেরদাউস, ফেনী-২ আসনের নিজাম উদ্দিন হাজারী ও সংরক্ষিত নারী আসনের সাংসদ ফরিদা খানম সাকী।

বৈঠক সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় নেতারা আলোচনার মাধ্যমে সকল পর্যায়ের সংকট নিরসন করে তৃণমূল থেকে সংগঠন গুছিয়ে আনার কথা বলেন।

সূত্র আরও জানায়, নোয়াখালীর সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী বলেন, প্রত্যেকের সম্মান আছে ও সামাজিক মর্যাদা আছে। কিন্তু মির্জা কাদের আমাদের সামাজিক মর্যাদা প্রশ্নবিদ্ধ করছেন। উনার অতিকথন আমাদেরকে সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ফেনীর সাংসদ নিজাম হাজারী একরামুল করিমের বক্তব্য সমর্থন করে বলেন, চরিত্র হননের প্রক্রিয়া বন্ধ করা দরকার।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আমরা নোয়াখালী ও ফেনীর দলীয় সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেখান সাংগঠনিক পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছি।