‘খালেদা জিয়া বলেছেন সবার প্রপারলি মাস্ক পরা উচিত’

করোনায় আক্রান্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবাইকে প্রপারলি মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন। শনিবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তাকে উদ্ধৃত করে এ তথ্য জানান ব্যক্তিগত চিকিৎসক দলের প্রধান অধ্যাপক ডা. এফ এম সিদ্দিকী।

তিনি বলেন, একটু আগেও যখন তিনি (খালেদা জিয়া) বলছিলেন, তিনি টেলিভিশনে দেখেন “অনেকে মাস্ক মুখ থেকে নামিয়ে কথা বলে, সিনিয়র নেতারাও আছে। তারা মাস্ক নামিয়ে কথা বলে, গলায় ঝুলিয়ে কথা বলে। একটু আগেই উনি বলেছেন, যে ‘মাস্ক যদি পরেই, সবার একদম প্রপারভাবে মাস্ক পরা উচিত”।

গুলশানে বিএনপি প্রধানের বাসা ‘ফিরোজা’র সামনে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. এফ এম সিদ্দিকী। এসময় তার সঙ্গে অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, ডা. মামুন ও চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান, শামসুদ্দিন দিদার উপস্থিত ছিলেন।

ডা. সিদ্দিকী জানান, খালেদা জিয়া মানসিকভাবে খুব স্ট্রং আছেন।

বিএনপি প্রধানের স্বাস্থ্য সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘বিএসএমএমইউ থেকে তিনি যখন বাসায় আসলেন তখন উনার মারাত্মক ক্ষুধামন্দা ভাব ছিল। তার ডায়াবেটিসও খুব অনিয়ন্ত্রিত ছিল। কিন্তু আমরা টেকওভার করার পর উনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরেও মোটামুটিভাবে ভালো অবস্থা দেখতে পাচ্ছি।’

‘কিন্তু আমরা এটাকেই শেষ বলতে চাই না’ উল্লেখ করে অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাদের অভিজ্ঞতা বলে, করোনা রোগী একবার ভালো হয়ে, এমনকি ডিসচার্জ করে দেওয়ার পর বাসায় নিয়ে যাওয়ার পরও অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে। কাজেই আমাদের সবগুলো অভিজ্ঞতা মনে রেখেই উনার চিকিৎসা করতে হবে। যাতে কোথাও কোনও গ্যাপ তৈরি না হয়। আমরা সেদিকে খুব ভালোভাবে দৃষ্টি রাখছি।’

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের সাজা (কারাদণ্ড) হয় খালেদা জিয়ার। ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে তার ছয় মাসের মুক্তি হয়। পরে ওই বছরের সেপ্টেম্বরে তার মুক্তির সময় আরও ছয় মাস বাড়ায় সরকার। এ বছরের মার্চে তৃতীয়বারের মতো ছয় মাসের মেয়াদ বাড়ানো হয়। গত ১১ এপ্রিল করোনা টেস্ট পজিটিভ আসে খালেদা জিয়ার।


আরও পড়ুন:

আলহামদুলিল্লাহ সব ঠিকঠাক আছে: খালেদা জিয়ার চিকিৎসক এফ এম সিদ্দিকী