পতাকার লাঠি আরও লম্বা করতে হবে: রিজভী

বিএনপির সাম্প্রতিক সমাবেশগুলোতে প্রতিরোধের প্রয়োজনে দলের নেতাকর্মীদের পতাকার লাঠি আরও লম্বা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘এত ব্যারিকেড এত হত্যাকাণ্ডের পরও যেভাবে বিএনপির নেতাকর্মীরা ও সাধারণ মানুষ কর্মসূচিগুলোতে সম্পৃক্ত হচ্ছে, এটার কারণ হচ্ছে আজ মানুষ জেগে উঠেছে। ন্যায়ের পক্ষে, গণতন্ত্রের পক্ষে তারা দাঁড়িয়েছে। তাই আমি বলছি প্রতিরোধের প্রয়োজনে পতাকার সেই লাঠি আরও লম্বা করতে হবে। আরও লম্বা লাঠি নিয়ে প্রতিরোধ করতে হবে।’

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ব্রিগেডিয়ার আ স ম হান্নান শাহের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গণমানুষ কীভাবে বিএনপির কর্মসূচিতে আসছে? যারা পুলিশের গুলিতে মারা যাচ্ছে তাদের কেউ ইজিবাইকের ড্রাইভার, কেউ মেকানিক, কেউ উবার চালক। ওরা সামনের কাতারে দাঁড়িয়ে জীবন দিচ্ছে।’আ স ম হান্নান শাহের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় বিএনপি নেতারা

তিনি বলেন, ‘বিএনপি আজ নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচিতে আছে, অনুমতির অপেক্ষার মধ্যে নেই। বিএনপিতে আজ বৈপ্লবিক পরিবর্তন হয়েছে। সাধারণ মানুষ, ভ্যানচালক, ইজিবাইক চালক, মেকানিক, উবার চালক সবাই বিএনপির পতাকাতলে আসছে, সমবেত হচ্ছে। গুলির পর রক্তে রঞ্জিত হয়ে শার্ট যে লাল হচ্ছে সেটি তখন আর শার্ট থাকে না। কবি শামসুর রাহমানের ভাষায় সেটি হয়ে যায় প্রাণের পতাকা।’

মরহুম ব্রিগেডিয়ার হান্নান শাহের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের কথা বলতে গিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, নেতৃত্বের প্রতি কীভাবে অবিচল থাকা যায় সেটা উনার জীবনী থেকে শেখা যায়। জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে এতো এতো ক্যু হয়েছে।  উনি জিয়াউর রহমানের প্রতি, জাতীয়তাবাদী আদর্শের প্রতি, দেশের প্রতি অবিচল আস্থা দেখিয়েছেন। ১/১১ এর পর দুর্দিনে তিনি অবিচল থেকে দলকে সংগঠিত করেছেন।

গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) হান্নান শাহ স্মৃতি সংসদের সদস্য সচিব মজিবুর রহমানের পরিচালনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরাফত আলী সপু, শহীদুল ইসলাম বাবুল, হান্নান শাহের ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, গাজীপুর জেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক সাংবাদিক রাশিদুল হক প্রমুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আসলে এটা সবাই জানে যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখনই গণতন্ত্র হত্যা করেছে। যখনই আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তখন এদেশের অর্থনীতি লুটপাট হয়। গত ১৪ বছর কীভাবে তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় রয়েছে এটাও সবাই জানে। এরা যদি ক্ষমতায় থাকে তাহলে বাংলাদেশের অর্থনীতি যে ধ্বংসস্তূপের দিকে যাচ্ছে এটা আর রক্ষা হবে না। এ থেকে রক্ষা পেতে হলে এই সরকারের হাত থেকে জনগণকে রক্ষা করতে হবে।’