আমাদের ছেলে-মেয়েরা কানাডাতে পড়ালেখায় খুব আগ্রহী: আমির খসরু

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও ফরেন অ্যাফেয়ার্স টিমের প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যেকার সম্পর্কটা অনেক ডাইভারসিফাই একটা সম্পর্ক। তিনি বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা আজকাল খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে কানাডায় লেখাপড়া করতে। প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলেমেয়েরা কানাডা যাচ্ছে।’  

বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাসের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, সোমবার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে গুলশানে দলের চেয়ারপারসন কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৈঠক থেকে বেরিয়ে এসে বিএনপির ফরেন অ্যাফেয়ার্স টিমের প্রধান আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সবাই জানি, বাংলাদেশ-কানাডার মধ্যকার সম্পর্কটা অনেক ডাইভারসিফাই একটা সম্পর্ক। প্রথমত, বাংলাদেশে আমাদের ২ বিলিয়নের ওপরে রফতানি হয়। সেটা ২০০৩ সালে বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে শুল্কমুক্ত সুবিধা—যেটা কানাডা পেয়েছিল, সেটা বিএনপির সময়ে নেগোসিয়েট হয়েছিল। যার কারণে আজকে আমাদের রফতানির একটা ডেসটিনি হয়েছে কানাডা। আমি তখন বাণিজ্যমন্ত্রী ছিলাম, আমি কানাডার সঙ্গে এই নেগোসিয়েট করেছিলাম।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের রফতানির বড় একটা জায়গা কানাডা। আমদানির জন্য বাংলাদেশের কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ কানাডা। আমাদের মূল কিছু জিনিস, যেমন- গম, ডাল, ডাল জাতীয় খাদ্যদ্রব্য—যার একটা বড় অংশ কানাডা থেকে আমাদের দেশে আসে।’

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমির খসরু বলেন, ‘আমাদের ছেলেমেয়েরা আজকাল খুব আগ্রহী হয়ে উঠেছে কানাডায় লেখাপড়া করতে। প্রতিনিয়ত আমাদের ছেলেমেয়েরা কানাডা যাচ্ছে। সেখানে বাংলাদেশের একটা বড় বংশোদ্ভূত শ্রেণি বাস করছে, যারা কানাডার অর্থনীতি ও সমাজে কনট্রিবিউট করছে।’