বড় শোডাউনের পরও খোলেনি বিএনপি কার্যালয়ের তালা

দলের সংকটময় সময়ে বিজয় দিবসের শোভাযাত্রার বড় শোডাউন করেছে বিএনপি। দীর্ঘদিন কর্মীশূন্য নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে নেতাকর্মীর ব্যাপক সমাগম হয়। তবে এতকিছুর পরও খোলেনি বিএনপি কার্যালয়ের তালা।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দুপুর ১২টার পর থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত হতে থাকেন বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা। ফকিরাপুল মোড় থেকে শান্তিনগর পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যানার হাতে অবস্থান নেন তারা। এ সময় নেতাকর্মীরা দলীয় স্লোগানসহ সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।

পরে দুপুর ২টা ২০ মিনিটে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপির বিজয় র‌্যালি শুরু হয়। মগবাজার ঘুরে কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয় র‌্যালি। ঘণ্টা ধরে চলা এই শোভাযাত্রা শেষ করে নয়াপল্টন এলাকা ত্যাগ করেন নেতাকর্মীরা। তবে গত ৫০ দিন ধরে তালাবদ্ধ থাকা দলীয় কার্যালয় খোলার কোনও উদ্যোগ নেননি তারা।

উৎসুক কর্মীরা কার্যালয়ের বন্ধ গেটের সামনে বসে সেলফি তোলেন

শোভাযাত্রা শেষে কয়েকজন উৎসুক কর্মীকে কার্যালয়ের বন্ধ গেটের সামনে বসে সেলফি তুলতে দেখে যায়। তবে কার্যালয় কবে খুলতে পারে এ নিয়ে তাদের কোনও ধারণা নেই।

জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন, ভেতরটা ঘুরে দেখতে ইচ্ছে হয়। কিন্তু কেন খোলা হচ্ছে না জানা নেই।

এদিকে বিএনপির নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয় এলাকা ছেড়ে চলে গেলেও সরেনি পুলিশ। মোতায়েন করা অতিরিক্ত পুলিশ চলে গেলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি ছোট টিম এখনও অবস্থান করছে বিএনপি কার্যালয়ের পাশে।

এর আগে, গত ২৮ অক্টোবর দলীয় মহাসমাবেশে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এরপর সমাবেশ পণ্ড হলে বিকাল থেকেই দলটির কার্যালয় নিয়ন্ত্রণে নেয় পুলিশ। ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তালা।

২৯ অক্টোবর পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট বিএনপি কার্যালয়ের তিন দিকে ‘ডু নট ক্রস– ক্রাইম সিন’ লেখা হলুদ ফিতা টানিয়ে দিয়ে আলামত সংগ্রহ করে। এরপর থেকে সেখানে সর্বক্ষণ অবস্থানে আছে পুলিশ।

বিএনপির কার্যালয় তালাবদ্ধ এবং সামনে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও গত ১৪ নভেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিএনপির কার্যালয়ে তালা মেরে রাখিনি। তাদের কার্যালয়ে তারা যেকোনও সময় আসতে পারবে। এতে আমাদের কোনও বাধা নেই। তবে নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’