সরকার চাইলে নির্বাচন কমিশন আইন তৈরি করে দেবে জাপা

প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশন ধ্বংস হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছে জাতীয় পার্টি। একইসঙ্গে সরকার চাইলে তারা নির্বাচন কমিশন আইন তৈরিতে সহযোগিতা করবে।

শনিবার (১ জানুয়ারি) জাতীয় পার্টির ৩৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় জাপার সিনিয়র নেতারা এসব কথা তুলে ধরেন।

দলের চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস হয়ে গেছে। চলমান ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে নির্বাচন কমিশন পুরোপুরি ব্যর্থ। আবারও ব্যর্থ হবে এমন নির্বাচন কমিশন আমরা চাই না।’

দলের মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন আইন করতে হবে। সময় নেই একথা বললে চলবে না। সরকার চাইলে আমরা নির্বাচন কমিশন গঠন আইন করে দেবো। প্রয়োজনে এই জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠেয় সংসদ অধিবেশনে আমরা আইনটি তুলতে পারবো।’

মুজিবুল হক চুন্নু আরও বলেন, ‘আমরা আর কারও সঙ্গে জোট করবো না, আমরা এককভাবে নির্বাচন করবো। তবে, গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের (জিএম কাদের) নেতৃত্বে কেউ জোটে আসতে চাইলে দেখা যাবে। দেশের মানুষ পানির নিচ দিয়ে আর পানির ওপর দিয়ে রেল লাইন চায় না। দেশের মানুষ চায়,  প্রতিটি জেলায় স্পেশালাইজড হাসপাতাল।’

কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ‘১৯৯৬ সালে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ সমর্থন দিয়ে আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়েছে। জাতীয় পার্টি এখন ঐক্যবদ্ধ,  জাতীয় পার্টি হচ্ছে দেশের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় রাজনৈতিক দল। আমরা মাঠে আছি, মাঠে থাকবো। জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় না নেওয়া পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবে।’

কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা হামলা-মামলার শিকার হচ্ছে। অনেকে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেও হামলার শিকার হচ্ছেন। ভোটের ফলাফল দেখে মনে হচ্ছে নৌকার মাঝি খারাপ অথবা দেশের মানুষ নৌকার ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।’

কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি এককভাবে নির্বাচন করেই রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। তবে, জাতীয় পার্টিকে বাদ দিয়ে কেউই রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেতে পারবে না।’

‘দেশের মানুষ জাতীয় পার্টির শাসনামলে ফিরে যেতে চায়’ বলে উল্লেখ করেন কো-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি। তিনি বলেন, ‘দেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে আছে।’

আলোচনা সভা শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্যরা।