পুরো দেশটাই অগ্নিঝুঁকিতে: জিএম কাদের

বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, আমাদের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। প্রমাণ হয়েছে, অগ্নিনির্বাপণে বর্তমান সক্ষমতা একেবারেই অপ্রতুল। এতে প্রতিবছর শত শত মানুষের প্রাণ যাচ্ছে ভয়াবহ আগুনে। পুরো দেশটাই যেন অগ্নিঝুঁকিতে।

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের নির্মম বাস্তবতা থেকে জাতি মুক্তি চায়। ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া তথ্যে জানা গেছে, গেলো বছর ২৭ হাজার ৬২৪টি অগ্নিকাণ্ডে ৭৯২ কোটি ৩৬ লাখ ৮২ হাজার ১৪ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডে মারা গেছেন ১০২ জন, আর আহত হয়েছেন ২৮১ জন। যদিও সাধারণ মানুষের ধারণা—এই সংখ্যা আরও বেশি।’

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ৪ মার্চ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় একটি চিনিকল আগুনে পুড়েছে। সেখানে অগ্নিনির্বাপণ কর্মীদের অসহায় মনে হয়েছে। গেলো ২৯ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে আগুনে পুড়ে মারা গেছেন ৪৬ জন। মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন আরও কয়েকজন।

‘২০১০ সালের ৩ জুন রাতে চানখারপুলের নিমতলীতে কেমিক্যালের গোডাউনে অগ্নিকাণ্ডে ১২৪ জন নিহত হন। আহত হন অর্ধশত এবং কারখানা ও বাড়ি পুড়েছে ২৩টি।’

‘২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে চকবাজারের চুড়িহাট্টা এলাকায় অগ্নিকাণ্ডে ৭১ জন মারা যান। আহত হয়েছেন কয়েকশ’ মানুষ। ২০১৯ সালের ২৮ মার্চ দুপুরে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ২৬ জন, আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।’

‘২০২১ সালের ২৭ জুন সন্ধ্যায় মগবাজারের রাখি নীড়ে অগ্নিকাণ্ডে মারা যান ১২ জন, আহত দুই শতাধিক। ২০২৩ সালের ৪ এপ্রিল বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডে ১ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা। ২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডে ২২৬টি দোকান পুড়ে ক্ষতি হয়েছে ৩৫০ কোটি টাকার’, বলা হয় বিবৃতিতে।

জিএম কাদের বলেন, ‘শুধু অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ ও সম্পত্তিহানি হচ্ছে তা-ই নয়, দেশের মানুষ আজ কোথাও নিরাপদে নেই। দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।’