বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মঈন খানের বাসায় এ বৈঠক হয়। সকালে সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ বৈঠক চলে।
বৈঠক শেষে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেছি, কূটনীতিকরা শুনেছেন। তারা কিছু বলেননি।’
ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য আ স ম আব্দুর রব বলেন, ‘চায়ের আড্ডায় মইন খানের বাসায় এসেছিলাম। সামাজিক রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’
বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘ফরেন মিশনের সঙ্গে বৈঠকটি হয়েছে। জোটের কোনও বিষয়ে কিছু না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ এক নেতা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘একাদশ সংসদ নির্বাচনের পরে আমরা ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে কূটনীতিকদের ব্রিফ করেছিলাম। তখন সেই সময়কার ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন এলিসন ব্লেক বলেছিল, মাঝে মাঝে আমরা এ রকম বসতে পারলে আমাদের জন্য ভালো হয়। তারপর আর বসা হয়নি। এখন নতুন ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন নিযুক্ত হওয়ার পরে বলেছিলেন আমরা বসতে পারি কিনা। তার সেই কথা ধরে আজকে আমরা বৈঠক করেছি। সাধারণত বিএনপির নেতা ড. মঈন খান কূটনীতিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি আজকের বৈঠকের আয়োজন করেন।’
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রবার্ট মিলার, ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন, কানাডার উপ-রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা। তবে ভারতের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।
ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরাম নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।