ছাত্র ইউনিয়নের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

‘শোষিতের সংগ্রামে স্লোগানে মিছিলে, আমরাই লিখবো মুক্তির গান’—এই স্লোগানে পালিত হয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে শোভাযাত্রাসহ নানা আয়োজনে পালন করা হয় দিনটি।

আজ সোমবার (২৬ এপ্রিল) বেলা ১১টায় রাজধানীর শহীদ মতিউল-কাদের চত্বরে স্কুল শিক্ষার্থীদের শ্রদ্ধা নিবেদনের পর একটি র‌্যালি বের হয়। এটি হাইকোর্ট, দোয়েল চত্বর ঘুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এসে শেষ হয়।

র‌্যালি শেষে শহীদ রাজুর স্মরণে নির্মিত স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এরপর একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সঞ্চালন করেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল ও সভাপতিত্ব করেন সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ।

সমাবেশে ফয়েজ উল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন যেই আদর্শ নিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল, আজও সেই আদর্শ লালন করে যাচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও করে যাবে। যতদিন পর্যন্ত আমাদের স্বাধীনতার স্বপ্ন-স্বাদ বাস্তবায়ন না হবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের লড়াই সংগ্রাম চলবে। আমরা বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলন দেখেছি। সেই শিক্ষা আন্দোলনের বিষয়গুলো এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। পাঠ্যপুস্তকে এখনও রয়েছে সাম্প্রদায়িকতা। হেফাজতসহ বিভিন্ন ধর্মীয় ছাত্র সংগঠনের দাবির মুখে যে সব প্রগতিশীল লেখকের লেখা পাঠ্যপুস্তক থেকে বাদ দেওয়া হলো আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। একইসঙ্গে আমরা বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষানীতি প্রণয়নের দাবি জানাচ্ছি।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘আমরা ছাত্র ইউনিয়নের ৬৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এমন এক সময়ে পালন করছি যখন সারাবিশ্ব করোনা মহামারিতে বিপর্যস্ত। বিগত ২১ দিন ধরে আমরা শ্রমজীবী মানুষকে ন্যূনতম এক বেলা খাবারের নিশ্চয়তা দিতে শ্রমজীবী ক্যান্টিন পরিচালনা করছি। সরকারের অপরিকল্পিত লকডাউনের প্রতিবাদে প্রতিবাদ করছি। স্বৈরাচারী সরকার মানুষের জানমালের কোনও নিরাপত্তা দিচ্ছে না। এমন কঠিন মুহূর্তে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আমরা পালন করছি। লাখো শহীদের শপথে আমাদের যেই সংগ্রাম, সেই সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।’

সমাবেশ আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি নজির চৌধুরী জয়, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, কেএম মুভাকী, সহকারী সাধারণ সম্পাদক হায়দার চঞ্চল, ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক অনুপম অমি, সাবেক সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম, সাবেক সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম নান্নু, ঢাকা মহানগর সংসদের সাবেক সভাপতি গোলাম রাব্বী খান, ঢাকা মহানগরের সাবেক নেতা আশিকুল ইসলাম জুয়েল প্রমুখ।