‘৫০ বছর ধরে কওমি মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত চর্চা হয় না’

ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য এম এ আউয়াল বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর হলেও দেশের কওমি মাদ্রাসাগুলোতে জাতীয় চেতনা ও সংস্কৃতিবোধ উপেক্ষার শিকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে সরকারি স্বীকৃতি পেলেও এসব মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত চর্চা হয় না। তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সরকারের মধ্যে উদাসীনতা কাজ করছে। আমরা অবিলম্বে এ বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।’

মঙ্গলবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর কলাবাগানে দলের চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এম এ আউয়াল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসাগুলোতে ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে নানা অঘটনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। মাদ্রাসায় শিশুরাও নির্যাতিত হচ্ছে। এসব অন্যায় বন্ধে শিক্ষকদের সচেতন করতে হবে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকদের জন্য সরকারকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

এ এম আউয়াল বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের এই সংক্রমণের মধ্যে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দরকার। করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ঈদের সময় আরও সতর্ক থাকতে হবে।’ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেওয়া নিয়মের মধ্যে ঈদের জামাত আদায় করার আহ্বান জানান তিনি।

হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক গ্রেফতার অভিযান প্রসঙ্গে এম এ আউয়াল বলেন, ‘যারা নাশকতা ও উগ্রবাদের সঙ্গে যুক্ত, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। নিরাপরাধ কোনও আলেম যেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির মধ্যে না পড়ে।’

ইসলামী ওয়াজ-মাহফিলের বক্তাদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘দেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সৃষ্টি এই প্রতিষ্ঠানটিকেই আলেমদের প্রশিক্ষণে এগিয়ে আসতে হবে। বক্তাদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে হবে। কোরআন হাদিসের নাম ব্যবহার করে উগ্রবাদী বক্তাদের চিহ্নিত করে তাদেরকে শুদ্ধির পথে ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য ইসলামিক ফাউন্ডেশনকেই ভূমিকা রাখতে হবে।’

সভায় দলের মহাসচিব অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।