২২-২৩ নভেম্বর ও ২০ ডিসেম্বর কর্মসূচি দিয়েছে বামজোট

জ্বালানি তেলের দাম ও পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ২২ ও ২৩ নভেম্বর সারাদেশের জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সামনে বিক্ষোভ করবে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এরপর ২০ ডিসেম্বর ঢাকায় জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি দিয়েছে এই জোট। সোমবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে সিপিবি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জোটের অন্যতম নেতা সাইফুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে এসব তথ্য জানান।

এর আগে সোমবার দুপুরে ঢাকায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে জ্বালানি মন্ত্রণালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এদিন পল্টন মোড় থেকে মন্ত্রণালয় অভিমুখে যাওয়ার পথে জিরো পয়েন্টে মোড়ে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। এ কারণে সেখানেই সমাবেশ শুরু হয়।

কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে বামজোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘সরকার গত সাত বছরে জ্বালানি থেকে ৪৩ হাজার ৫২ হাজার কোটি টাকা লাভ করেছে। কিন্তু উল্টো ভর্তুকি না দিয়ে মূল্য আরও বাড়িয়েছে। পরিবহন ভাড়ার দামও বাড়ানো হয়েছে।’

বজলুর রশীদের অভিযোগ, জনগণের প্রতি বর্তমান সরকারেরর কোনও দায়বদ্ধতা নেই।

বিক্ষোভ সভায় জোটের শরিক বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘প্রতিটি পণ্যের দাম মানুষের ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে গেছে। মানুষ এখন একদিন বাঁচলে আরেকদিন কীভাবে বাঁচবে তা জানা নেই তাদের। এমন অবস্থায় ঘরপোড়ার মধ্যে আলুপোড়া দিয়ে সরকার জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি করেছে।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির এই নেতার মন্তব্য, ‘জ্বালানি তেলের সিন্ডিকেট এখন সরকারি দলের নিয়ন্ত্রণে। তারা জনগণের পকেট থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিদিন আত্মসাৎ করেন। নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত সেই টাকার ভাগ-বাটোয়ারা হয়। সরকার বলে এটা নাকি মুক্তবাজার। বাংলাদেশে মুক্তবাজার বলে কিছু নেই। এজন্য বাজারে যখন একটি জিনিসের দাম বাড়ে তা আর কখনও কমে না। বর্তমান সরকার সিন্ডিকেট, মুনাফাখোর ও দুর্নীতিবাজদের সরকার।’

সমাবেশে আরও ছিলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সভাপতি বজলুর রশীদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, সিপিবি’র সহকারী সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন।