ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের শিকার ফিলিস্তিন ও ইরানের প্রতি সংহতি জানানোর জন্য একটি দিন ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটি উদ্যোগে ‘ইরানে ইসরায়েল-মার্কিন বর্বর আগ্রাসী হামলা বন্ধের দাবিতে’ আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এই আহ্বান জানান।
সাইফুল হক বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে বলবো— শুধু বিবৃতি দিয়ে দায়িত্বটা পালন করা যাবে না। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে খুবই দ্রুত একটা দিন ঘোষণা করুন, যেদিন এদেশের ১৮ কোটি মানুষ ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে রাজপথে নেমে আসবে। যেদিন বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ট্রাম্প-নেতানিয়াহু-চক্রের গ্রেফতার দাবি করে রাজপথে নেমে আসবে। এই গণহত্যা বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশের পতাকাকে আমরা মাথায় করে নিয়ে যেদিন রাজপথে দাঁড়াবো। বাংলাদেশের দলমত নির্বিশেষে আমরা ফিলিস্তিন এবং ইরানের প্রতি আন্তর্জাতিক সংহতি জানাতে যেয়ে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সংহতি দিবস ঘোষণা করবার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ইরানের শাসনব্যবস্থা নিয়ে আমাদের সমালোচনা আছে। আমাদের আপত্তি আছে। আমরা সমালোচনা করেছি। এটা সত্য। কিন্তু একইসঙ্গে ইরান একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশ। ইরানের জনগণ ঠিক করবে, ইরানের শাসন ব্যবস্থা কী হবে, ইরান কোনভাবে চলবে। কিন্তু আজকে ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে পরমাণু অস্ত্র আছে বলে সার্বভৌম দেশকে তারা হামলা করবে, গুড়িয়ে দেবে— এটা কোকোভাবেই আমরা গ্রহণ করতে পারি না।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চাইছে— পুরো দুনিয়াটাকে ‘মগের মুল্লুক’ তৈরি করার জন্য। এখনে যা খুশি করা যায়। জাতিসংঘ একটা ঠুটো জগন্নাথে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রসহ একটা নিরাপত্তা পরিষদ আছে। কারও কারও ভেটো পাওয়ার আছে। আমি বলতে চাই, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রসহ কারও কোনও ভেটো পাওয়ার থাকার সুযোগ নাই। যুক্তরাষ্ট্র কোথাও যুদ্ধ থামাতে পারেনি। জাতিসংঘ কোথাও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। কোথাও যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি। কারণ যখনই কোনও প্রস্তাব নেওয়া হয়— নিরাপত্তা পরিষদে মার্কিনিরা, পশ্চিমা বিশ্ব ভেটো দিয়ে সেটা আটকে দেয়। তাই বলছি, তাদের ভেটো পাওয়ার তুলে দেওয়া দরকার।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন মোসতাক, বহ্নি শিখা জামালি, আকবর খান প্রমুখ।