‘আমরা এখনও পিকনিক-পিকনিক আন্দোলন করছি’

২০ দলীয় জোটের শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (একাংশ) মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেছেন, আজকে যে করুণ ইতিহাস ঘটতে যাচ্ছে— খালেদা জিয়া যদি মৃত্যুবরণ করেন, তাহলে  একমাত্র সন্তান তারেক রহমান তার (খালেদা জিয়া) মুখ দেখতে পাবেন না। মৃত্যুশয্যায় একজন মা তার সন্তানকে দেখতে পাবেন না,  আর  আমরা এখনও পিকনিক-পিকনিক আন্দোলন করছি। আমরা আইন বুঝি না, আমরা কোনও উদাহরণ বুঝি না। আমরা নতুন উদাহরণ সৃষ্টির জন্য খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি।’

মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আব্দুস সালাম হলে বাংলাদেশ জাতীয় দলের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে’ আয়োজিত আলোচনা সভায় এলডিপির মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, হয় মরবো না হয় বাঁচবো। মৃত্যুর শপথ নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। রুখে দাঁড়াতে হবে। রুখে দাঁড়িয়ে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এই সরকারের পায়ের নিচে সামান্যতম মাটি নেই। দরকার একটা সুনির্দিষ্ট ধাক্কা। ধাক্কা দিলেই এই সরকারের পতন ঘটে যাবে। জনগণের রাজত্ব কায়েম হবে। খালেদা জিয়া মুক্ত হয়ে চিকিৎসা করাতে পারবেন।’

শাহাদাত হোসেন সেলিম আরও বলেন, ‘আমাদের এখনও ঘুরে দাঁড়ানোর সময় আছে। হায়েনার কাছে আমরা জীবন ভিক্ষা চাইলে, জীবন ভিক্ষা পাবো না। এই হায়েনা থেকে মুক্তি পেতে পিকনিক- পিকনিক ধরনের যে আলোচনা সভায় আমরা বক্তব্য রাখছি, আপনারা খোশ গল্প করছেন, আমরা কে আগে বক্তব্য রাখবো, কে পরে বক্তব্য রাখবো আমরা সেটা নিয়ে মাথা ঘামাই।’

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশ করে সেলিম বলেন, ‘এই সরকারের পতন ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই। নেতাদের বলতে চাই, সরকার পতনের আন্দোলনের ডাক দেন। হয়তো ২০ দলে আমাদের তেমন শক্তি নেই, তবুও শেষ পর্যন্ত আমরা আপনাদের সঙ্গে থাকতে চাই।’

সভাপতির বক্তব্যে বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহসানুল হুদা বলেন, ‘বিএনপি আগামীকাল (বুধবার)  খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ভিসিদের বরাবর স্মারকলিপি জমা দেবে। কীসের স্মারকলিপি, এখন বাঁচা-মরা অবস্থা, আর আমরা যাবো ভিসিদের কাছে স্মারকলিপি জমা দিতে। এই কুসুম-কুসুম আন্দোলন দিয়ে হবে না। যদি আমরা রাস্তায় নামি, এদেশের জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকবে।’

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— বিএন‌পির স্থায়ী ক‌মি‌টির সদস‌্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতুল্লাহ, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য  জহির উদ্দিন স্বপন, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান প্রমুখ।