ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট শুধু বাজার নয়, সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করছে : ন্যাপ চেয়ারম্যান

রাজনীতি যখন দেশ ও জনগণের প্রতিপক্ষ হয়, তখন সেটা রাজনীতি থাকে না, থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি। তিনি বলেন, ‘জনগণের কল্যাণেই রাজনীতির সার্থকতা নিহীত। সেবার ব্রত নিয়েই রাজনীতিতে এগিয়ে আসতে হবে। মওলানা ভাসানী, যাদু মিয়াদের জনকল্যাণের রাজনীতি জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।’

রবিবার (৬ নভেম্বর) নীলফামারীর ডিমলায় ৪ নম্বর খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়ন মাঠে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টিতে (বাংলাদেশ ন্যাপ) যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিন শতাধিক নেতা-কর্মী ন্যাপে যোগদান করেন।

তিনি বলেন, ‘মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর অনুসারীরা শুধু ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না, বাংলাদেশ ন্যাপ দেশ ও জনগণের কল্যাণেই রাজনীতি করে। এটা আমাদের দায়িত্ব। জাতীয় যেকোনও সংকট মোকাবিলায় আমাদের ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের প্রশ্নে কোনও আপস নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘জনকল্যাণে আত্মনিয়োগ ও সংকটে এগিয়ে আসার মধ্যেই রাজনীতির সার্থকতা। সেবার ব্রত নিয়ে রাজনৈতিক কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে। জনগণের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সুন্দর কর্মের মধ্যে সার্থকতা খুঁজতে হবে।’

বাংলাদেশ ন্যাপ ডিমলা উপজেলা উপদেষ্টা প্রবীণ রাজনীতিক মাহফুজার রহমান মুকুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন দলের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে এম গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ‘সারা দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বেড়েই চলছে, বাজারের আগুনে পুড়ছে সাধারণ মানুষ। অভাব ও দারিদ্র্যের কশাঘাতে আজকের জনজীবন দুঃখ ও হাহাকারে পূর্ণ। জীবনধারণের প্রয়োজনীয় প্রতিটি দ্রব্য অগ্নিমূল্য। চাল, ডাল, মাছ, মাংস, তেল, তরিতরকারি, ফলমূল, চিনি, লবণ, গম, আটা, রুটি, বিস্কুট ইত্যাদি দ্রব্যের মূল্য আগের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়েছে। ফলে সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে গণবিরোধী ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। সরকারের ভেতর লুটেরাদের সহযোগিতায় সাধারণ মানুষের পকেট কাটা হচ্ছে। অবৈধ ব্যবসায়ী-সিন্ডিকেট শুধু বাজার নয়, সরকারকেও নিয়ন্ত্রণ করছে। সরকার লুটেরা, মুনাফাখোর ও মজুতদারদের পাহারাদার হিসেবে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটকে রক্ষা করে চলেছে।’

সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের ডিমলা উপজেলা আহ্বায়ক জাকারিয়া হোসেন রাজু, সদস্য সচিব মোফাক্কারুল ইসলাম পেলব, উপদেষ্টা আবদুর রহমান, ওয়াহেদুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক বিশ্বনাথ সিংহ রায়, আমজাদ হোসেন লিখন, আব্দুল মতিন, দুলাল ইসলাম, আব্দুস শুক্কুর, মুজিবুর রহমান বুলবুল, ডা. বিপুল, লুৎফর রহমান, ডোমার উপজেলা সমন্বয়কারী বাবু জগবন্ধু রায়, ফিরোজ পারভেজ উজ্জ্বল, সদ্য যোগদানকারী জাকারিয়া হোসেন ডিএম, আলী হোসেন রাজু, ওয়াসিম বারী নয়ন, মশিউর রহমান বুুলু, মনোয়ার হোসেন, ডা. লেলিন প্রমুখ।