সংসদ ঘেরাও কর্মসূচি দিয়ে নেতাকর্মীদের ঢাকায় আসার আহ্বান নুরের

দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর দিনে ‘সংসদ ভবন’ ঘেরাও কর্মসূচির ডাক দিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। দলটির একাংশের সভাপতি নুরুল হক বলেছেন, ‘বর্তমানে দুইটা সংসদ চলছে। আন্দোলন আমরা বন্ধ করিনি। গণতন্ত্র অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। যেদিন প্রথম ভুয়া, ডামি পার্লামেন্ট বসবে, সেদিন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃত্বে আমরা সংসদ ঘেরাও কর্মসূচি দেবো। তাই আমরা এখন সারা বাংলাদেশ থেকে ঢাকায় এসে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। সংসদ ডাকার সঙ্গে সঙ্গে সংসদ ঘেরাও যেন আমরা করতে পারি।’

শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুব অধিকার পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত ‘দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি, জনবিচ্ছিন্ন অবৈধ সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি ও সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বিজিবি হত্যা’র প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আহ্বান জানান।

নুরুল হক নুর বলেন, ২৮ জুলাই, ১০ ডিসেম্বর ও ২৮ অক্টোবরের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা আগামীতে সফলতা আনবোই। ব্যর্থতাই সফলতার সোপান। সুতরাং ওই ব্যর্থতার অভিজ্ঞতা নিয়েই বিএনপি-জামায়াত, বামপন্থি-ডানপন্থিসহ সব বাংলাদেশপন্থিকে উক্ত কর্মসূচিতে এখন থেকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি। 

দল, মত নির্বিশেষে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, ‘এ দেশে সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য হচ্ছে আওয়ামী লীগ। তাই এই দলটিকেও বয়কট করুন, বর্জন করুন এবং রাজপথে নামুন।’ 

তিনি বলেন, ‘শুধু দ্রব্যমূল্য নয়, সব জায়গায় মানুষ একটা সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি হয়ে আছে। সিন্ডিকেটের মূল হোতা হচ্ছে এই সরকার। কাজেই এই সরকারকে হটাতে না পারলে সিন্ডিকেট ভাঙা যাবে না। এই সরকারের শক্তির মূল হচ্ছে মোদির হিন্দুত্ববাদী ভারত।’

নুরের ভাষ্য, ‘তাই আজকে আমরা বলছি যে বাংলাদেশের মার্কেট থেকে ভারত খেদাও, প্রশাসন থেকে ভারত খেদাও, সাংবাদিক কমিউনিটি থেকে ভারত খেদাও। বাংলাদেশ থেকে অবৈধ ভারতীয়দের খেদাও, ভারতীয়দের আধিপত্য ঠেকাও। আমরা আজ পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, যারা (ভারতীয়রা) এই দেশে ব্যবসা করছেন তারা ব্যবসা গুটিয়ে নেন। আর কোনও দোকানে ভারতীয় পণ্য রাখবেন না।’

যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোরশেদ মামুনের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ দলের অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।