বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন পর্যন্ত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে দৃশ্যমান ও কার্যকর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি। বাংলাদেশের বন্ধু হিসেবে পরিচিত দেশগুলোও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে বিশ্বাসযোগ্য কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।’
শুক্রবার (১৪ মার্চ) সেগুনবাগিচায় পার্টির কেন্দ্রীয় কর্মশালায় তিনি উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন। সেগুনবাগিচায় সংহতি মিলনায়তনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
ইতিমধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মানবিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তাদের অবস্থান বাংলাদেশের জন্য বহুমাত্রিক নিরাপত্তা ঝুঁকিও তৈরি করেছে।’ জাতিসংঘের মহাসচিবের এবারকার বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন ত্বরান্বিত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এসময় সম্প্রতি মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছরের শিশু আছিয়া প্রসঙ্গেও কথা বলেন সাইফুল হক। তিনি বলেন, ‘শিশু আছিয়ার করুণ মৃত্যুর দায় রাষ্ট্র এড়াতে পারে না। বিদ্যমান গোটা রাষ্ট্র, মাজ ব্যবস্থা ও চূড়ান্ত অবক্ষয়ী মূল্যবোধ এ ধরনের মর্মান্তিক মৃত্যুর রাস্তা প্রশস্ত করে।‘ তিনি নারীর অধিকার ও মর্যাদা বিরোধী সকল তৎপরতা আইন করে বন্ধ করার দাবি জানান।
পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলান রাশিদা বেগম, সজীব সরকার রতন, শহীদুল আলম নান্নু, সাইফুল ইসলাম স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, জেলার প্রতিনিধি মীর রেজাউল আলম, মাহমুদুল হাসান পিপলু, অরবিন্দু বেপারী বিন্দু, এমডি ফিরোজ, আনোয়ারুল ইসলাম নান্নু,বাবর চৌধুরী, সুমন হাওলাদার, শাহীন মন্ডল, স্বাধীন মিয়া ও আরিফুল ইসলাম, আবু লাহাব লাইসুদ্দিন, লিপি সরকার, শাহজাহান মিয়া ও আশরাফুল ইসলাম প্রমুখ।
কর্মশালার শুরুতে পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা গণসংগীত শিল্পী এপোলো জামালী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি আরেফিন সিদ্দিক ও শিশু আছিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করা হয় ও এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়।