বিচার, সংস্কার ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (২৩ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আয়োজিত শ্রমিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
জোনায়েদ সাকি বলেন, নতুন বাংলাদেশে যদি শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করা না যায়, তাহলে নতুন বাংলাদেশ গড়া যাবে না। এই গণ-অভ্যুত্থান শ্রমিকের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে রয়েছে।
শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সরকারকে অধিক নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, শ্রম সংস্থার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।
একটা নতুন গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক বন্দোবস্তের দরকার উল্লেখ করে গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী বলেন, বর্তমানে ক্ষমতার মধ্যে কোনও ভারসাম্য নেই। ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্টের পতন হলেও বর্তমানে ক্ষমতা একজনের হাতে।
বিচার সংস্কার ও নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানান জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, গার্মেন্টসে শ্রমিকদের নিরাপদ কর্ম পরিবেশ তৈরি করতে হবে। সম্মানজনক বাঁচার জন্য উপযুক্ত মজুরি দিতে হবে। নারীদের মাতৃত্বকালীন ছুটি দিতে হবে।
তিনি বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে শ্রম আইন করতে হবে। বর্তমান আইনে অনেক ফাঁকফোকর আছে, সেগুলো বন্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অধিকার আদায়ে লড়াই-সংগ্রামের কোনও বিকল্প নাই। সংগ্রাম ছাড়া কোনোকিছু আদায় করা যায় না। বর্তমান সময়েও অধিকার আদায়ে সংগ্রাম করতে হচ্ছে। সামনেও অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রামই একমাত্র পথ। আর এ জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।
সমাবেশে বিভিন্ন শ্রমিক সংলঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।