বিচার, সংস্কার, নির্বাচন এই তিনটা একসঙ্গে চলতে হবে। এই তিনটার সঙ্গে কেউ বিরোধ লাগিয়ে দিয়ে কোন কিছু দীর্ঘায়িত করলে জনগণ মানবে না বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
শুক্রবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঐতিহাসিক ফারাক্কা লং মার্চের ৫০ বছর উপলক্ষে গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সরকারের উদ্দেশে জোনায়েদ সাকি বলেন, যাদের শক্তি বেশি তাদের আপনারা ছাড় দিবেন, আবার আপনাদের অপছন্দ থাকলে তার সঙ্গে দীর্ঘ সূত্রিতা করবেন— এই সমস্ত আচরণ আপনাদের বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে যায় না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সরকারকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ছাত্র নেতারা রাষ্ট্র পরিচালনায় গিয়েছেন, উপদেষ্টা হয়েছেন। একজন উপদেষ্টাকে অসম্মান করা কোনোভাবেই সমর্থন যোগ্য না। তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। কিন্তু উপদেষ্টাদের আন্দোলন ন্যায্য আর অন্যদের আন্দোলন অন্যায্য— এটা তো ভালো কথা না। কাজেই আজকে যখন জবির ছাত্ররা আন্দোলনে নেমেছে তখন তাদের ন্যায্য দাবি মানার জন্য আলোচনায় বসুন। আলোচনায় না বসে বড় কায়দা করে দীর্ঘ সূত্রিতা করে কী পরিচয় দিচ্ছেন নিজেদের।
তিনি বলেন, আমরা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে পরিষ্কার করে বলতে চাই অন্তর্বর্তী সরকার সবার, আন্দোলনকারীদের সমর্থনে তৈরি হয়েছে। এটাতো কোন একটা পক্ষের সরকার নয়। আপনাদের কাজ হচ্ছে মুহূর্তের সমস্যাগুলো সমাধান করা। যে সমস্যা সমাধান করতে পারবেন না দ্রুত সমস্ত পক্ষের সঙ্গে আলাপ করে সমাধানের উদ্যোগী হোন।
ভারতের উদ্দেশে গণতন্ত্র মঞ্চের এই নেতা বলেন, ভারতকে আগেও বলেছি এই দেশের মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেন সমতার ভিত্তিতে। কারো অধিকার হরণ করে বন্ধুত্ব হয় না। সেটাকে দাসত্ব বলে। যে আমাদের অধিকার হরণ করছে, প্রতিমুহূর্তে ঠকাচ্ছে তাদের যদি আমরা বন্ধু ভাবি— তাহলে আমরা শুধু শারীরিকভাবেই দাস নই, মানসিকভাবেও দাস।
সাকি বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর বিদেশিদের কাছে কী পদ্ধতিতে দেওয়া হচ্ছে— তা আপনারা খোলাসা করেননি। এভাবে কাজ করার এখতিয়ার আপনার নেই। আপনাদের উচিত রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা।
সমাবেশে এসময় গণসংহতি আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।