‘ফেস অব ইভ্যালি’ হলেন তাহসান

‘ফেস অব ইভ্যালি’ হলেন সংগীত শিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। প্রতিষ্ঠানটির চিফ গুডনেস অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি। দুই বছর তিনি এই দায়িত্ব পালন করবেন। বুধবার (১০ মার্চ) বিকালে একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় ইভ্যালি।

এ প্রসঙ্গে তাহসান খান বলেন, আমি অনেক বছর শিক্ষকতা করেছি। আমার পছন্দের বিষয় ছিল ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। ব্র্যান্ড নামের কারণে কাস্টমাররা কাছে আসেন। আমি এমন একটা দিন দেখতে চাই, বাংলাদেশের ব্র্যান্ড হবে গ্লোবাল ব্র্যান্ড।

তাহসান খান বলেন, আমি একইসঙ্গে ইভ্যালির চিফ গুডনেস অফিসার হিসেবে কাজ করবো। ইভ্যালির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার আগে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল। আমি তাদের উত্তরে সন্তুষ্ট। তাদের মধ্যে সততা দেখেছি। যদি সেটা কখনও না থাকে আমি সরে আসবো।

এদিকে রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তাহসানকে ‘ফেস অব ইভ্যালি’ করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেয় ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ। তাহসান খান ছাড়াও এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইভ্যালির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল।

দেরিতে ডেলিভারির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা সব প্রোডাক্ট দেরিতে ডেলিভারি দেই তা ঠিক নয়। আমরা এক ঘণ্টায় ফুড ডেলিভারি দেই, তিন থেকে সাত দিনের মধ্যে গ্রোসারি প্রোডাক্ট ডেলিভারি দেই। প্রি-অর্ডার নিয়ে প্রোডাক্ট কিছু দিন পরে কম মূল্যে দেই। তাতে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট থাকেন। তাতে কারও অভিযোগ নেই। আমাদের ফান্ড ম্যানেজমেন্টে অনেক বিষয় থাকে। যার কারণে কখনও কখনও রিফান্ডে কিছুটা সময় লাগে। আমরা সেটিও কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি। 

সরকারের নীতিমালা প্রসঙ্গে মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমরা এক মাস অপারেশনের বাইরে ছিলাম। দুই মাসের একটা ধাক্কা খেয়েছিলাম। আমরা যত দ্রুত সম্ভব সব সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। যে কোনও নীতিমালা হোক, তবে সেটা যেন আমাদের (ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি) সঙ্গে আলাপ করে হয় এটা আমরা আশা করি।

আরও পড়ুন-

তাহসানের পোস্টে তোলপাড়, জানা গেলো কারণও!