র‍্যাংকিং সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

র‌্যাংকিং নিয়ে প্রশ্ন-উত্তর

ইউনিভার্সিটিতে ভর্তির সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সহায়তা করার লক্ষ্যে বাংলা ট্রিবিউন-ঢাকা ট্রিবিউন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং- ২০১৯ প্রকাশ করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে এই র‍্যাংকিংয়ের গবেষণা পদ্ধতি নিরূপণ করা হয়। গবেষণায় প্রাপ্ত শীর্ষ ২০টি ইউনিভার্সিটির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই র‍্যাংকিং নিয়ে প্রাথমিক কিছু প্রশ্নের উত্তর নিম্নে দেওয়া হলো। 

১. কেন এই র‍্যাংকিং?

আমরা ইউনিভার্সিটিগুলোকে নিজেদের বর্তমান অবস্থান ও তার উন্নয়নে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে, সে বিষয়ে জানাতে চাই। উচ্চশিক্ষার সামগ্রিক উন্নয়নে এই র‍্যাংকিং অবদান রাখবে, যা পুরো দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

২. এই র‍্যাংকিং শিক্ষার্থীদের কী উপকারে লাগবে?

তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবে কোন ইউনিভার্সিটি তাদের জন্য ভালো হবে। একইসঙ্গে আর্থিক বিষয়টিও এরসঙ্গে সম্পৃক্ত। যেসব ইউনিভার্সিটির খরচ তারা বহন করতে পারবে, তার মধ্যে সবচেয়ে যেটি ভালো, সেটাতে ভর্তি হওয়ার চেষ্টা করবে। এমন হতে পারে যে, একজন ছাত্র শীর্ষ র‍্যাংকিংয়ের ইউনিভার্সিটির খরচ জোগান দিতে অক্ষম, তখন তারা এই র‍্যাংকিং থেকে সামর্থ্যের মধ্যে ভালো একটিকে পছন্দ করতে পারবে।

৩. এই র‍্যাংকিংয়ে কেন ২০টি ইউনিভার্সিটিকে বিবেচনা করা হয়েছে?

বাংলাদেশে ১০১টি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির মধ্যে মাত্র ৩৬টি প্রয়োজনীয় শর্তাবলি পূরণ করতে পেরেছে। বাকিগুলোর মধ্যে কিছু কয়েকটি  সরকারের কালো তালিকার অন্তর্ভুক্ত, কোনও কোনও ইউনিভার্সিটিতে এখনও কোনও সমাবর্তন হয়নি, কিছু ইউনিভার্সিটি  মাত্র একটি বা বিশেষায়িত বিষয় পড়ায় এবং আবার কোনোটিতে শিক্ষার্থী-সংখ্যা খুবই কম।

৪. কিসের ভিত্তিতে এই র‍্যাংকিং?

এই র‍্যাংকিং ইউনিভার্সিটি-শিক্ষকের সংখ্যা, গবেষণা, ক্যাম্পাস, শিক্ষা কার্যক্রম, লাইব্রেরির অবস্থা, পাস করা শিক্ষার্থীদের সম্পর্কে শিক্ষক ও চাকরিদাতাদের ভাবনার ভিত্তিতে করা হয়েছে।

৫. পারসেপচুয়াল ও ফ্যাকচুয়াল ৬০:৪০ কেন হলো?

যেহেতু ইউজিসি থেকে সর্বশেষ যে তথ্য পাওয়া যায়, তা ২০১৭ সালের এবং পুরোপুরি নির্ভুল ফ্যাকচুয়াল তথ্য পাওয়া যায় না।  যেহেতু সিদ্ধান্ত গ্রহণে পারসেপশন বা ধারণা উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমিকা রাখে, তাই অনুপাত নির্ধারণের ক্ষেত্রে ফ্যাকচুয়াল তথ্যের চেয়ে পারসেপশন তথ্যকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।