দেরি হওয়ায় ইনজুরিতে বোল্ট!

সতীর্থরা বোল্টের ইনজুরির দায় চাপাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে! লন্ডনে অনেক আশা নিয়ে ৪x১০০ মিটার রিলের শেষ ল্যাপে ব্যাটন হাতে নিয়েছিলেন বোল্ট। লক্ষ্য ছিল সবার আগে পৌঁছে রঙিন এক ক্যারিয়ার শেষ করার দিকে।  ভাগ্যদেবী হয়তো সহায় ছিলেন না। ক্ষিপ্র গতিতে দৌড় শুরুর পরই পেশিতে টান লেগে পড়ে যান মাটিতে। দৌড় শেষ না করে সতীর্থদের সহায়তায় ট্র্যাক ছেড়ে যেতে হয় জ্যামাইকান তারকাকে। সেই সতীর্থরাই বোল্টের ইনজুরির দায় চাপাচ্ছেন কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে! সতীর্থ ইয়োহান ব্লেকের দাবি , ‘দৌড় ১০ মিনিট দেরিতে শুরু হয়েছিল। আমরা প্রায় ৪০ মিনিটের মতো ছিলাম। আমাদের অনেকক্ষণ রেখে দিয়েছিল।’

এর আগে ১০০ মিটারেও স্বর্ণ জিততে পারেননি বোল্ট। গতি দিয়ে দীর্ঘদিন মোহাচ্ছন্ন করে রাখা বোল্ট সেই জায়গায় জিতেছেন ব্রোঞ্জ! তাই রিলেতে সেই আক্ষেপ ঘোচানোর ইচ্ছা থাকলেও শেষটায় সঙ্গী হয়েছে হতাশা। তার আক্ষেপটা এভাবেই প্রকাশ করেছেন ১০০ মিটারের সাবেক এই চ্যাম্পিয়ন, ‘এটা আসলেই আঘাত করে। যখন একজন কিংবদন্তিতে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।’

এক নজরে বোল্টের কীর্তি

২০০৭ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ-রৌপ্য (২০০ মিটার), রৌপ্য (৪x১০০ মিটার)

২০০৮ অলিম্পিক-স্বর্ণ (১০০ মিটার), স্বর্ণ (২০০ মিটার)

২০০৯ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ-স্বর্ণ (১০০ মিটার), স্বর্ণ (২০০ মিটার), স্বর্ণ (৪x১০০ মিটার)

২০১১ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ-স্বর্ণ (২০০ মিটার), স্বর্ণ (৪x১০০ মিটার)

২০১২ অলিম্পিক- স্বর্ণ (১০০ মিটার), স্বর্ণ (২০০ মিটার), স্বর্ণ (৪x১০০ মিটার)

২০১৩ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ-স্বর্ণ (১০০ মিটার), স্বর্ণ (২০০ মিটার), স্বর্ণ (৪x১০০ মিটার)

২০১৫ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ-স্বর্ণ (১০০ মিটার), স্বর্ণ (২০০ মিটার), স্বর্ণ (৪x১০০ মিটার)

২০১৬ অলিম্পিক- স্বর্ণ (১০০ মিটার), স্বর্ণ (২০০ মিটার), স্বর্ণ (৪x১০০ মিটার)

২০১৭ বিশ্ব অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ- ব্রোঞ্জ (১০০ মিটার)

/এফআইআর/