ময়মনসিংহের হ্যাটট্রিক নাকি ঠাকুরগাঁওয়ের প্রথম শিরোপা

ফাইনালে মুখোমুখি ময়মনসিংহ ও ঠাকুরগাঁওসংবাদ সম্মেলনের একপর্যায়ে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলার অধিনায়ক ইয়াসমিন আক্তার।  কারণ প্রয়াত সাবিনার স্মৃতি এখনও যে কাঁদিয়ে বেড়াচ্ছে তাদের।  সেই সাবিনার মৃত্যু শোককেই প্রেরণায় রূপ দিতে চান ইয়াসমিন।  তাই সংবাদ সম্মেলনে সেই প্রসঙ্গ এভাবেই তুললেন ময়মনসিংহ জেলার অধিনায়ক ‘স্যার আমার একটা কথা আছে। আমার সহপাঠী সাবিনা হঠাৎ করে মারা গেছে। আমরা তার জন্যই জিততে চাই। জেতার পর ট্রফি নিয়ে তার কবরে যেতে চাই।’

জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৫ দলের খেলোয়াড় ও ময়মনসিংহের ধোবাউড়ার মেয়ে সাবিনা ইয়াসমিন গত ২৬ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ইহলোক ছেড়ে গেছেন। সাবিনার সঙ্গে  বর্তমান দলটির সম্পর্ক ছিল নিবিড়।  তাই দলটির বর্তমান অধিনায়কের আরও একটি আবেদনের প্রেক্ষিতে ফাইনালের আগে একমিনিট নীরবতাও পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেডারেশন।

শুক্রবার বেলা ৩ টায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে হবে জেএফএ কাপ অনূর্ধ্ব-১৪ মহিলা ফুটবলের ফাইনাল। হ্যাটট্রিক শিরোপার সামনে ময়মনসিংহ। তাদের প্রতিপক্ষ প্রথমবারের মতো ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া ঠাকুরগাঁও জেলা। প্রতিপক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়েই ইয়াসমিন আক্তার বৃহস্পতিবার আরও বললেন, ‘দুই দলই শক্তিশালী। কে জিতবে বলা কঠিন। প্রতিপক্ষের জালে যারা আগে বল জড়াবে তারাই জিতবে। আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’

ময়মনসিংহের দলটির ১৫ জন খেলোয়াড়ই কলসিন্দুর গ্রামের। দলটির কোচ সালাউদ্দিন আহমেদও আশাবাদী এই দল নিয়ে,‘আমাদের খেলোয়াড় সংগ্রহ করতে বেশ পরিশ্রম করতে হয়েছে। ফাইনালের আগে ৬ জন খেলোয়াড় ছিল না। জেএসসি পরীক্ষার কারণে অংশ নিতে পারেনি। তবে আশার কথা- ওরা ফাইনালে খেলতে পারবে।হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্যই আমরা খেলবো।’

প্রথমবারের মতো ফাইনালে যেতে পেরে ঠাকুরগাঁও জেলার কোচ সুগা মুরমুও আত্মবিশ্বাসী,‘ রানীশৈংকলের রানাটুঙ্গি গ্রাম থেকে অনেক পরিশ্রম করে দল গড়তে হয়েছে। শুরুতে অনেক কথা শুনতে হয়েছে।  এমনকি ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এখন এই দল নিয়ে আমরা ফাইনাল জিততে চাই। স্বরণীয় হয়ে থাকতে চাই।’ দলটির সহ অধিনায়ক বীথিকা কিসকু চাইছেন ভালো কিছু করে দেখাতে,‘ অনেক দূর থেকে এসেছি ভালো কিছুর জন্য। ফাইনাল জিততে পারলে জেলার সুনাম বাড়বে।’