রিচার্ড পাইবাসের নিয়োগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে চলছে সমালোচনা!

বাংলাদেশেও অল্প সময়ের জন্যে কোচ ছিলেন পাইবাস। বাংলাদেশের হেড কোচ হতে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন রিচার্ড পাইবাস। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের নতুন পরিকল্পনায় ক্যারিবীয় বোর্ডে যোগ দিয়েছেন সাবেক বাংলাদেশ কোচ। সেখানে হাইপারফরম্যান্স ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছেন। আর তাতে সমালোচনার ঝড় বইছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটে!

ক্যারিবীয় বোর্ডে পুনরায় তার ফেরার বিপক্ষে সরব হয়ে উঠেছেন সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ ওপেনার ডেসমন্ড হেইন্স। ছেড়ে কথা বলেননি সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক ড্যারেন স্যামিও।

এই বোর্ড থেকে এক বছরেরও বেশি সময় আগে ডিরেক্টরের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন পাইবাস। কিন্তু নতুন করে পাইবাসকে পেতে রাতারাতি একটি পদ তৈরি করে ভেড়ানো হয়েছে ইংলিশ কোচকে। এমন তড়িঘড়ি নিয়োগ নিয়েই যত সমালোচনা। সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবদন্তি হেইন্স বোর্ড সভাপতিকে উদ্দেশ্য করে বলেই ফেললেন এ কথা, ‘ডেভ ক্যামেরনকে খুব জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছে করছে, কখন নিয়োগ হলো আর এই পদের বিজ্ঞাপনই কখন দেওয়া হলো।’ নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এভাবেই  সমালোচনা করেন তিনি।

জানা গেছে, কোনও বিজ্ঞাপন ছাড়াই পাইবাসকে বোর্ডে ভেড়ানো হয়েছে। বোর্ড সভাপতি ক্যামেরনের একক আধিপত্যেই এমনটি করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড।

স্যামিও যে পাইবাসকে খুব ভালো চোখে দেখেন তা কিন্তু নয়। পাইবাসের নিয়োগের খবরের পর টুইট করে বসেন এভাবে, ‘মিথ্যা, মিথ্যা, মিথ্যা… এটা মনে হয় ভুয়া খবর।’ এর একদিন পর এক টুইটারের উত্তরে মন্তব্য করেন নেতিবাচকভাবেই, ‘আশা করবো এই দুঃস্বপ্নটা যেন সত্যি না হয়।’

পাইবাসকে নিয়ে স্যামিদের ক্ষোভের কারণও আছে। কারণ ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দায়িত্ব ছাড়লেও তার সময়টা ছিল বিতর্কিত। এই পাইবাসই ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে খেলতে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা বাধ্যতামূলক করেছিলেন। অনেক অভিজ্ঞ ও সিনিয়র ক্রিকেটারই এই সিদ্ধান্তের বিরোধী ছিলেন, যারা বিদেশে টি-টোয়েন্টি লিগ খেলে বেড়ান। যার কারণে অনেকেই নেই জাতীয় দলে!

অবশ্য এমন সমালোচনার জবাব দিয়েছেন পাইবাসও। হেইন্সের ফেসবুক পোস্টের জবাবে তিনি লিখেছেন, ‘আমি আসলে কিছু পয়েন্ট পরিষ্কার করে দিতে চাই। আমাকে কিন্তু বাংলাদেশে যেতে ও সাক্ষাৎকারে অংশ নিতেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। আমি ওদের ওখানে আবেদন করিনি বা শর্ট লিস্টেডও হইনি। আমি ৩০ বছর ধরে কোচিং করে আসছি।’

তিনি আরও পরিষ্কার করে দেন যে তার সময়ে ২০১৬ সালে তিন বিশ্বকাপ ট্রফি জয়(টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি নারী বিশ্বকাপ ও অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ) কোনও দুর্ঘটনা ছিল না, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ ও নারীদের ইউনিটের পুরোটাই চলেছে হাই পারফরম্যান্সের (আমার) অধীনে। আমাকে কেউ সরায়নি, তখন আমি নিজেই চুক্তি বাড়াতে রাজি ছিলাম না।