মোস্তাফিজকে আলাদা কৃতিত্ব মাহমুদউল্লাহর

ম্যাচসেরা মাহমুদউল্লাহ।জেতার জন্য শেষ ওভারে আট রান প্রয়োজন ছিল আফগানিস্তানের। অসাধারণ দক্ষতায় তা রুখে দেন মোস্তাফিজুর রহমান। তুলে নেন দুটি উইকেটও। এমন ম্যাচ জয়ী বোলিংয়ের পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশংসার বন্যায় ভাসছেন মোস্তাফিজ। একই ম্যাচে ৭৪ রানের ইনিংসের সঙ্গে ইমরুলকে নিয়ে ১২৮ রানের জুটি গড়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবুও নিজের পারফরম্যান্সকে এগিয়ে রাখলেন না। মোস্তাফিজের শেষ ওভারের জন্য তাকে আলাদা কৃতিত্ব দিচ্ছেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাফিজুরের প্রশংসা করতে গিয়ে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘মোস্তাফিজের শেষ ওভারের বোলিংকেই টার্নিং পয়েন্ট বলবো। আমাদের জুটি হয়ত গুরুত্বপূর্ণ ছিলো, কিন্তু ৬ বলে ৮ রান আটকানো সহজ নয়। মোস্তাফিজ যেভাবে করেছে, সেটা ছিলো অসাধারণ।’

আফগানিস্তান ইনিংসের পুরোটা সময় রোমাঞ্চ ছড়িয়েছে। ম্যাচটি কখনো আফগানদের পক্ষে তো কখনো বাংলাদেশের পক্ষে হেলে পড়েছে। তবে শেষ ওভারে যখন ৮ রান প্রয়োজন ছিল তখনও মাশরাফি বাহিনী বিশ্বাস করতে পারেনি, তারা জিততে যাচ্ছেন। ঠিক কখন মনে হয়েছিল জিততে পারবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘সম্ভবত, শেষ বলটির পরই। কারণ ব্যবধান ছিল খুবই কম। ওরা খুব ভালো খেলছিল, ভালো জুটি গড়েছিল। স্নায়ুকেও বশে রেখেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছি। মোস্তাফিজ দারুণ বোলিং করেছে। সব বোলারই ভালো করেছে, ম্যাশ(মাশরাফি), সাকিব, মিরাজ সবাই। মোস্তাফিজকে তবু আলাদা কৃতিত্ব দিতে হবে। ক্র্যাম্প নিয়েও সে দারুণ বোলিং করেছে।’

বাংলাদেশ গত কয়েক বছর বেশ কিছু ম্যাচে শেষ ওভারে গিয়ে হেরেছে। যার সবশেষ উদহারণ নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল। এছাড়া ২০১২ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনাল এবং ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির কথা ক্রিকেটাররা কখনোই ভুলবেন না। রবিবার আফগানিস্তান জয়ের খুব কাছে গিয়েও জিততে পারেনি। এটাই তৃপ্তি দিচ্ছে মাহমুদউল্লাকে, ‘ম্যাচ জেতার অনুভূতি কখনোই প্রকাশ করা যায় না। বাংলাদেশের হয়ে যে কোনো ফরম্যাটে যে কোনো ম্যাচ জয়ই ভালো লাগার। তবে বেশি ভালো লাগছিল যে আমরা অনেকবারই ৬ বলে ৮ বা ৯ রুখে দিতে পারিনি। আজকে আমাদের বোলাররা এটা ডিফেন্ড করেছে। এটা দারুণ তৃপ্তির।’

সীমিত ওভারের ক্রিকেট টানা তিনটি ম্যাচে আফগান স্পিন জুজুর কাছে হার মেনেছে বাংলাদেশ। রবিবার অবশ্য বেশ ভালোভাবেই সামলেছে আফগান স্পিনারদের। রশিদ-মুজিবকে সামলানোর ব্যাপারে ম্যাচ সেরা হওয়া মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আমরা সবাই জানি রশিদ অসাধারণ বোলার। খুব ভালো খেলছে। ওদের মূল স্ট্রাইক বোলারদের একজন। তবে তার মানে এই নয় যে তাকে খেলাই যায় না। এতদিন আমরা যেভাবে খেলতে চাচ্ছিলাম ওকে, সেভাবে হয়ত পারছিলাম না। আজকে আমার আর ইমরুলের জুটিতে আমাদের চিন্তা ছিল যে রশিদকে উইকেট দেব না।’