বুধবার আবুধাবিতে তার সামনে আরও একবার পাকিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ। এবার তিনি ম্যানেজার হিসেবে মাশরাফিদের সঙ্গে আছেন। অলিখিত সেমিফাইনালে মুখোমুখি হওয়ার আগে বাংলাদেশের ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজন ১৯৯৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে পাকিস্তান বধের স্মৃতিচারণ করলেন বাংলা ট্রিবিউনের কাছে।
পাকিস্তানকে হারিয়ে গোটা বাংলাদেশই তখন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছিল। ইংল্যান্ড থেকে গোটা বাংলাদেশের জয়ের খবরটা ছড়িয়ে পড়তেই পুরো শহর রংয়ের উৎসবে মেতে ওঠে। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ২৭ রান করার পর বল হাতে শহীদ আফ্রিদি, ইনজামাম উল হক ও সেলিম মালিককে ফিরিয়ে ম্যাচ সেরার পুরস্কার পাওয়া সুজন সেই জয়ের স্মৃতিচারণ করে বললেন, ‘অন্যরকম আনন্দ ছিল। এই আনন্দতো ভাষায় প্রকাশ করার মতো না। সত্যিকার অর্থে আমি স্বপ্নের জগতে চলে গিয়েছিলাম। ম্যাচ সেরা হওয়াটাও আমার কাছে দারুণ ব্যাপার ছিল। আমি বড় মঞ্চে বাংলাদেশকে জেতাতে পেরেছি, এটা আমাকে গর্বিত করেছে।’
গর্ডনের চলে যাওয়া তাতিয়ে দিয়েছিল কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘কিছুটা কষ্টতো মনের মধ্যে ছিলই। তার চলে যাওয়ার দিনে ভালো করতে চেয়েছিলাম। এছাড়া প্রথমবারের মতো নতুন বলে বোলিং করেছি। এমনিতেই আমার বলে সুইং থাকে, নতুন বলে আরও সুইং পেয়েছিলাম। জায়গা মতো বল করাটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কাজটা ঠিকমতো করতে পেরেছিলাম।’
ব্যাট হাতে ২২৩ রান করার পরই এক ধরনের আত্মবিশ্বাস চলে আসে বাংলাদেশ শিবিরে। সেই কথা স্মরণ করে সুজন বলেন, ‘ব্যাটিং ভালো হওয়ার পর আমাদের আত্মবিশ্বাস ছিল। ফিল্ডিংয়ে নামার পর ভেবেছি, ভালো বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংটাও ভালো করতে হবে। দ্রুত কয়েকটা উইকেট পড়ে যাওয়াতে বিশ্বাস জন্মেছিল জিততে পারবোই।’
পাকিস্তানের বিপক্ষে পুরনো ম্যাচের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বুধবারের ম্যাচে ফিরে আসলেন সুজন। বুধবারের ম্যাচ জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী ব্যক্ত করলেন এভাবেই, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটা জয়ই অনেক আনন্দের। আজ জিততে পারলে আমিও গর্বিত হবো। ম্যাচটা যদি জিততে পারি আমরা এশিয়া কাপে তৃতীয় বারের মতো ফাইনাল খেলতে পারবো। এই অনুভূতি নিয়ে আবুধাবি যাচ্ছি।’
তিনি আরও যোগ করে বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমার একটাই স্বপ্ন। কবে আমরা এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করব। এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। এই স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে আমাদের ছেলেরা নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে, এটাই বিশ্বাস করি। আমাদের সেই সক্ষমতা আছে। মাঠে আমরা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে জেতা সম্ভব হবে।’