তাইজুলের ঘূর্ণির পর টেলরের প্রতিরোধ

 

iমিরপুর স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে করা ৫২২ রানের বিশাল সংগ্রহের বিপরীতে চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম সেশনে দুই উইকেট পরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় সেশনে দ্রুত দুই উইকেট পড়লে বিপদে পড়ে যায় সফরকারীরা। এমন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফিফটিতে প্রতিরোধ গড়ছেন ব্রেন্ডন টেলর। দ্বিতীয় সেশন পর জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৫ রান।  

ব্রেন্ডন টেলর ব্যাট করছেন ৫৯ রানে আর পিটার মুরও দ্রুত গতিতে ব্যাট চালিয়ে ক্রিজে আছেন ৪৪ রানে।  এই জুটিতে এসেছে ৬৪ রান।

দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে ফিরে যান শন উইলিয়ামস। প্রথম সেশনে ব্রায়ান চারি ফিরলে ব্রেন্ডন টেলর ও শন উইলিয়ামস মিলে জুটি গড়ার চেষ্টায় ছিলেন। ৩৩ রান করে ফেলা এই জুটি স্থায়ী হতে দেননি তাইজুল। তার সরাসরি আঘাত হানা বলে বোল্ড হয়ে ১১ রানে ফেরেন শন উইলিয়ামস। তারপর নতুন নামা রাজাও তাইজুলের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন রানের খাতা খোলবার আগে।

মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন প্রথম ঘণ্টায় প্রতিরোধ ছিলো জিম্বাবুয়ের। নাইটওয়াচম্যান তিরিপানো ও ওপেনার চারি পার করে দেন প্রায় ঘণ্টা খানেক। তাইজুলের ঘূর্ণিতে এই জুটি ভাঙনের পর মধ্যাহ্নভোজনের আগে পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানো ব্রায়ান চারিকে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। এই সেশনে ২৬ ওভারে ২ উইকেটে ৭৫ রান আসে জিম্বাবুয়ের।

মেহেদী হাসান মিরাজের একই ওভারে বিদায় নেওয়ার আগের বলে ব্রায়ান চারির ক্যাচ নিতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ। পরের বলে মিরাজের ঘূর্ণিতে ক্যাচ আউট হয়ে ফেরেন ক্রিজে আতঙ্ক ছড়ানো ওপেনার ব্রায়ান চারি। শুরুতে শর্ট লেগ ফিল্ডার ক্যাচ নিয়ে আবেদন করলে অনফিল্ড আম্পায়ার সাড়া দেননি। ‘অস্পষ্ট’ এই ক্যাচের জন্যে মাহমুদউল্লাহ রিভিউ নিলে দেখা যায় বল হাল্কা গ্লাভসে লেগে জমা পড়ে মুমিনুলের হাতে। তাতে ৫৩ রানে ইতি ঘটে ব্রায়ান চারির ইনিংসের। তার ১২৮ বলের ইনিংসে ছিলো ৬টি চার ও দুটি ছয়।

দ্বিতীয় দিনের বাকি সময় সামলাতে নাইটওয়াচম্যান ডোনাল্ড তিরিপানোকে নামিয়েছিলো জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় দিনের শুরুতে এই নাইটওয়াচম্যানকে নিয়ে প্রায় ঘণ্টাখানেক প্রতিরোধ দেন ওপেনার ব্রায়ান চারি। তাতে হতাশা বেড়ে যাচ্ছিলো স্বাগতিক শিবিরে। ২৯তম ওভারে সেই তিরিপানোকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। বোলার তিরিপানো তাইজুলের ঘূর্ণিবল বুঝে উঠতে পারেননি। খুব বেশি এগিয়ে আসায় বল ব্যাটের বাইরের কোনায় লেগে চলে যায় স্লিপে থাকা মিরাজের হাতে।  

সকালে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সতর্ক শুরু করেন ব্রায়ান চারি ও ডোনাল্ড তিরিপানো। সকালে টানা তিনটি মেডেন দেন মোস্তাফিজুর রহমান ও খালেদ আহমেদ। তবে খলিলের একটি শর্ট বলে আচমকা হেলমেটে আঘাত প্রাপ্ত হন ব্রায়ান চারি। তাতে ক্ষতিকারক কিছু হয়নি। এরপর ২৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে আউট সাইড এজ হয়ে ক্যাচের সুযোগ তৈরি করেছিলেন চারি। কিন্তু স্লিপ অতিক্রম করে বল চলে যায় সীমানার বাইরে।