ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গ্রুপ পর্বে শাইনপুকুরের কাছে হেরেছিল মোহামেডান। সুপার লিগে সেই হারের বদলা নিয়েছে তারা। মোহামেডান স্লগ ওভারে শাইনপুকুরকে চেপে ধরেছিল। শেষ ওভারে জয়ের জন্য শাইনপুকুরের প্রয়োজন ছিল ১১ রান। সেই জায়গায় ২ রান তুলতে পারে দলটি। তাতে ৮ রানের জয়ে চলতি মৌসুমে রানার্সআপ হওয়ার পথটা সুগম হয়ে গেলো মোহামেডানের।
বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর হাফ সেঞ্চুরির পর আরিফুল হকের দায়িত্বশীল ৪১ রানের ইনিংসে মোহামেডান ২৫৫ রান সংগ্রহ করে। জবাবে দলীয় ৭ রানে জিসান আলম (৫) ও অমিত হাসানকে (০) হারায় শাইনপুকুর। তৃতীয় উইকেটে খালিদ হাসান ও মার্শাল আইয়্যুব মিলে ৯২ রানের জুটি গড়েন। খালিদ ৪৮ রান করে আউট হলেও মার্শাল হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন। ৭২ বলে ৭০ রান করে আউট হন মার্শাল। পরে ইফরান শুক্কুরকে নিয়ে আকবর আলী আরও একটি জুটি গড়েন।
ইরফান ৩৮ রানে আউট হলে তাদের করা ৭০ রানের জুটিটি ভাঙে। ইরফান যখন আউট হন শাইনপুকুর তখন জয় থেকে ৫৮ রান দূরে। একপ্রান্ত আগলে রেখে আকবর বাকি সতীর্থদের নিয়ে জয়ের পথেই ছিলেন। শেষ দুই ওভারে শাইনপুকুরের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৭ রানের। কিন্তু কঠিন চাপে রান তুলতে গিয়ে ৪৯তম ওভারের শেষ বলে আউট হন আকবর। ৬৭ বলে ৫ চার ও ছক্কার ৬১ রানের ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন তিনি।
৪৯তম ওভারে ৬ রান তুলতে গিয়ে শাইনপুকুর দুটি উইকেট হারিয়েছে। আবু হায়দারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন আরাফাত সানি। পরের দুই বলে দুটি সিঙ্গেল নিলেও চতুর্থ বলে নাহিদ রানাকে ফিরিয়ে মোহামেডানকে দারুণ এক জয় এনে দেন আবু হায়দার। শেষ দুই ওভারে মোহামেডানের দুই পেসার মুশফিক হাসান ও রনির চাপে ৪৯.৪ ওভারে ২৪৭ রানে অলআউট হয় শাইনপুকুর।
মোহামেডানের বোলারদের মধ্যে ৫১ রানে আবু হায়দারের শিকার চারটি উইকেট। এছাড়া মুশফিক তিনটি এবং অফস্পিনার মেহেদী হাসান একটি উইকটে শিকার করেন।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বিপর্যয়ে পড়ে সাদা-কালোরা। দলীয় ৭০ রানে টপ অর্ডারের চার ব্যাটারকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় দলটি। পঞ্চম উইকেটে মেহেদী হাসান মিরাজ ও মাহমুদউল্লাহ মিলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন। মিরাজ ৭৮ বলে ৬ চারে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন। ম্যাচসেরাও হয়েছেন তিনি। এদিকে চট্টগ্রাম থেকে আগের দিন উড়ে এসে মাহমুদউল্লাহও দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছেন। ৬৯ বলে ১ চার ও ২ ছক্কায় ৫৬ রানের ইনিংস খেলে আউট হন তিনি।
মিরাজ-মাহমুদউল্লাহর আউটের পর দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি। তবে আরিফুল হকের দায়িত্বশীল ৪১ রানের ইনিংসের ওপর দাঁড়িয়েই মোহামেডান ২৫৫ রান তুলে ফেলে। ৩৩ বলে ৩ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলেন আরিফুল।
শাইনপুকুরের বোলারদের মধ্যে আরাফাত সানি তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া নাঈম আহমেদ ও নাহিদ রানা প্রত্যেকে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন।