হাবিবুল বাশারকে ছোঁয়ার অপেক্ষায় অধিনায়ক মাশরাফি

মাশরাফি বিন মুর্তজা।প্রথম ওয়ানডেতে ২০০ ম্যাচ খেলার মাইলফলক স্পর্শ করেছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। কয়েক ঘণ্টা পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে অধিনায়ক মাশরাফির সামনে আরেকটি অর্জনের হাতছানি। মাশরাফি যখন টস করতে নামবেন, অধিনায়ক হিসেবে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডেতে নেতৃত্ব দেওয়া হাবিবুল বাশারকে ছুঁয়ে ফেলবেন।

তবে সাফল্যের বিচারে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে ৫৯ শতাংশ ম্যাচে জয়ে শীর্ষে আছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফিই। জাতীয় দলের নির্বাচক ও সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশার ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ৬৯টি ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে আজকের ম্যাচটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফির ৬৯তম ম্যাচ। রেকর্ড কিংবা মাইলফলকের বিষয়ে বরাবরই নির্লিপ্ত নড়াইল এক্সপ্রেস। এর কোন কিছুই যেন তাকে স্পর্শ করে না। ব্যক্তিগত অর্জনের চেয়ে দলীয় সাফল্যই তার মাঝে আলোড়ন তোলে বেশি!

অধিনায়ক হিসেবে আজ হাবিবুলকে ছুঁলেও সাফল্যর দিক দিয়ে অনেক আগে সাবেক এই অধিনায়ককে ছাড়িয়ে গেছেন নড়াইল এক্সপ্রেস। সর্বোচ্চ ৩৯ জয়ে দলকে নেতৃত্ব দিয়ে দেশের সেরা ওয়ানডে অধিনায়ক এখন তিনি। হাবিবুলের নেতৃত্বে ২৯টি জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। তৃতীয় স্থানে থাকা সাকিব আল হাসানের অধিনায়কত্বে বাংলাদেশ ৫০ ম্যাচে জিতেছে ২৩ টি।

২০০১ সালে অভিষেকের পর ইনজুরির সঙ্গে যুদ্ধ করতে করতে এই পর্যায়ে এসেছেন মাশরাফি। বহুবার জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন, আবার ফিরে এসেছেন সময়ের দাবি মেনে। ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো বাংলাদশ দলের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। তবে ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে প্রথমবার ৫০ ওভারের ক্রিকেটে বাংলাদেশ দলকে নেতৃত্ব দেন। মাশরাফির নেতৃত্বেই ওই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রথমবার ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ছিল বাংলাদেশ।

একই বছর নিউজিল্যান্ড সিরিজে ইনজুরিতে পড়ে যান। আর তাতে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ খেলার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায় মাশরাফির। ফের ২০১৪ সালে ভয়ঙ্কর দুঃসময়ে নেতৃত্বে এসে দেশের ক্রিকেটকে বদলে দিয়েছেন পরশ পাথরের মতো।

তার অধিনায়কত্বেই সফলতার পথে যাত্রা শুরু বাংলাদেশের। এই সময়ে ২০১৫ বিশ্বকাপ কোয়ার্টার ফাইনাল, গত বছর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল আর গত সেপ্টেম্বরে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে তার দল। একই সঙ্গে তার নেতৃত্বে ভারত-পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকাকে ওয়ানডে সিরিজে হারিয়ে দলকে পাইয়ে দিয়েছেন উত্তুঙ্গ আত্মবিশ্বাস।