পাকিস্তানের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের বিধ্বংসী ব্যাটিংই এর প্রমাণ। ল্যাঙ্গারও তা আলাদা করে তুলে আনলেন তার কথায়, ‘ওরা দারুণ ক্রিকেট খেলছে। তাই নয় কি? ওরা সত্যিকার অর্থেই এবারের বিশ্বকাপে রেড হট ফেভারিট। ওরা নিজেদের মাঠেই এবারের বিশ্বকাপ খেলবে। ওরা যেভাবে খেলছে তাতে এক নম্বর দল হওয়ার ক্ষেত্রে ওরা যোগ্যতর।’
অবশ্য এমন সফলতা এমনি এমনি আসেনি। ২০১৫ বিশ্বকাপে ব্যর্থতার পরই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ইংল্যান্ড। ওয়ানডে ফরম্যাটে সেই ফর্ম চোখে পড়ার মতো। বিশেষ করে তাদের ব্যাটিং স্টাইলে পরিবর্তন আনার কারণে আগ্রাসী মনোভাবকেই এখন সবার সমীহ। তবে অস্ট্রেলিয়ারও নিজেদের কিছু কৌশল আছে। ল্যাঙ্গার মনে করেন তারা ইংল্যান্ডকে সামাল দিতে অনুসরণ করবেন সেই কৌশল, ‘এসব কিছু ১২ মাস ধরেই শুনে আসছি। তবে আমারও দেখিয়েছে আমরা যদি নিজেদের ফর্মুলাতেই টিকে থাকি তাহলে হয়তো কিছু সফলতা আসবে। বিষয়টা খুবই সাধারণ।’
বেশ কয়েক বছর ধরে ইংল্যান্ডের পিচ এখন ব্যাটিং বান্ধব। সম্প্রতি তা চোখেও পড়ছে প্রকটভাবে। এমনকি ২০১৮ সালে এখানে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই ওয়ানডের সর্বোচ্চ স্কোরটা গড়েছে ইংল্যান্ড- ৪৮১! ল্যাঙ্গার মনে করেন তার দল নিজেদের গেমপ্ল্যান মেনে চললে এমন স্কোর গড়া সম্ভব তাদের পক্ষেও, ‘আমাদের গেমপ্ল্যানটা কী এ নিয়ে নিজেরা খুব পরিষ্কার। সেটা আমরা ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে করে দেখিয়েছি। তাই সেটা অনুসরণ করতে পারলে ক্রিকেটে বড় স্কোর গড়ে আমারও জিততে পারবো।’