সৌম্যর হাফসেঞ্চুরিতে খুলনার সহজ জয়

হাফসেঞ্চুরিতে খুলনার জয়ে ভূমিকা রেখেছেন সৌম্য সরকার। ২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে ৭ উইকেটের জয় পেয়েছে খুলনা বিভাগ। প্রথম স্তরের ম্যাচটিতে শেষ দিন জয়ের জন্য ১০৮ রান করতে হতো খুলনাকে। আগের দিন এক উইকেট হারানো খুলনা জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলেছে সৌম্য সরকারের হাফসেঞ্চুরিতে। চট্টগ্রামে ঢাকা ও রংপুর বিভাগের মধ্যকার প্রথম স্তরের অপর ম্যাচটি ড্র হয়েছে।

এতদিন ধরে অফফর্মে ছিলেন বামহাতি ব্যাটসম্যান সৌম্য সরকার। অবশেষে দ্বিতীয় রাউন্ডে রানের দেখা পেয়েছেন। সঙ্গে উপহার দিয়েছেন ম্যাচ জেতানো অপরাজিত ৫০ রানের ইনিংস। আগের দিন অপরাজিত থাকা ইমরুল কায়েস খুব বেশি কিছু করতে পারেননি শেষ দিন। আউট হয়েছেন ২২ রানে। অপরপ্রান্তে থাকা সোম্য তখন সাবলীল ভঙ্গিতে খেলে জয় তুলে নিয়েছেন। সঙ্গী মিঠুন ২৭ রানে আউট হলেও জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে। মিরাজ অপরাজিত থাকেন ১৪ রানে। খুলনা জয় নিশ্চত করে ৩ উইকেট হারিয়ে। 

খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে প্রথম ইনিংসে ২৬১ রান করেছিল রাজশাহী। জবাবে খুলনা ৩০৯ রানে অলআউট হলে প্রথম ইনিংসে ৪৮ রানের লিড পায়। দ্বিতীয় ইনিংস পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নামলে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় রাজশাহী। ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শেষ পর্যন্ত রাজশাহী গুটিয়ে গেছে ১৭০ রানে।

তারপর জয়ের জন্য ১২৩ রানের টার্গেট পায় খুলনা। খুলনার পক্ষে আল-আমিন-রাজ্জাক ৪টি ও মোস্তাফিজ ২টি উইকেট নেন।

প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে ৫ উইকেটে ৩৩৪ রানে দিনের খেলা শুরু করা রংপুর বিভাগ শুরুতেই হারিয়েছিল আগের দিনের সেঞ্চুরিয়ান নাঈম ইসলামকে। তিনি ফিরে গেছেন ১৩৫ রানে। রংপুরের স্কোরবোর্ড পাহাড়সম হয় লেট অর্ডারে সোহরাওয়ার্দী শুভর অপরাজিত ৯২ রানের সুবাদে। তানবীর হায়দার কিছুটা সঙ্গ দিয়ে ফিরেছেন ৭৩ রানে।

শুভ অপরাজিত থাকলেও বাকিদের ইনিংস বড় না হওয়াতে প্রথম ইনিংসে ৫০৮ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। ঢাকার হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল ও নাজমুল ইসলাম। তার আগে ৮ উইকেটে ৫৫৬ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছিল ঢাকা বিভাগ। দ্বিতীয় ইনিংসে শেষভাগে মাত্র ৩ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ঢাকা। বিনা উইকেটে তারা সংগ্রহ করে ১০ রান। ম্যাচসেরা হয়েছেন ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সাইফ হাসান।