বাফুফের নির্বাচন ২০ এপ্রিল

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদীবাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)বর্তমান কমিটির মেয়াদ আগামী ৩০ এপ্রিল শেষ হতে যাচ্ছে। তার আগেই বাফুফের মসনদে কে বসবেন তা ঠিক হয়ে যাবে। ঠিক হবে অবশ্য নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই নির্বাচন এবার একটু আগেভাগেই হচ্ছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ১০ দিন আগে অর্থাৎ ২০ এপ্রিল হবে প্রত্যাশিত সেই নির্বাচন। রমজান মাস শুরুর আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার ইচ্ছা থেকেই শুক্রবার বাফুফের কার্যনির্বাহী কমিটির ১৮তম সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে গঠন করা হয়েছে তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশন। গতবার যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরই রেখে দিয়েছে বাফুফে। এরা হলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও সরকারের সাবেক অতিরিক্ত সচিব মেজবাহ উদ্দিন, দুই কমিশনার পাসপোর্ট অধিদফতরের সাবেক পরিচালক মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী ও সিনিয়র আইনজীবী মোতাহের হোসেন সাজু।
নির্বাচন এগিয়ে আনা প্রসঙ্গে বাফুফের সিনিয়র সহসভাপতি সালাম মুর্শেদী বলেছেন, ‘সবকিছু বিবেচনা করে রোজার আগেই নির্বাচন করতে যাচ্ছি। ডেলিগেটদের সুবিধা বিবেচনা করে ১০দিন নির্বাচন এগিয়ে আনা হয়েছে। অর্থাৎ ২০ এপ্রিল নির্বাচন হবে। তিন সদস্যের নির্বাচন কমিশনও ঠিক হয়েছে।’

চার বছরের সফলতা ও ব্যর্থতা নিয়ে বাফুফের কর্মকর্তার কথা, ‘আমরা যারা কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে কাজ করছি, ব্যক্তিগতভাবে কাজ নিয়ে আমি সন্তুষ্ট। সার্টিফিকেট তো নিজেরটা নিজে দিতে পারি না। কাজের মূল্যায়ন দেশবাসী করবে।’

নিজেদের সফলতার ফিরিস্তি দিয়ে সাবেক এই ফুটবলার বলেছেন, ‘আমি দেখেছি সভাপতি যাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা পালন করা হয়েছে। জাতীয় দল অনেক আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে। প্রিমিয়ার লিগসহ ঘরোয়া ফুটবল ঠিক ছিল।বয়সভিত্তিক দল কিংবা মেয়েদের দল আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপসহ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা হয়েছে। সন্তুষ্টির অনেক লেবেল আছে। আমার কাজে আমি যতটুকু সন্তুষ্ট হতে পারবো আপনি নাও হতে পারেন। আমরা আসলে সবাই মিলে কাজ করেছি। জাতীয় দল হয়তো সব জায়গায় সফল হতে পারেনি, তবে বয়সভিত্তিক দলসহ অন্য জায়গায় কিন্তু আমরা সফল হয়েছি। সফলতা তো ওজন করা যায় না। ’

নির্বাচন ২০ এপ্রিল হলেও নতুন কমিটি দায়িত্ব পাবে ৩০ এপ্রিলের পর। নির্বাচনের আগে ডেলিগেট চূড়ান্ত হবে। গতবার হোটেল র‌্যাডিসনে হয়েছিল নির্বাচন। এবার বাফুফে ভবনেই হবে। এ নিয়ে সালাম মুর্শেদির ব্যাখ্যা, ‘এবার তো কোনও সমস্যা বা ঝুঁকি দেখছি না। ডেলিগেট যারা আছে তারা সবাই বন্ধুর মতো। পরিবারের নির্বাচন হবে পরিবারের নিজস্ব ভবনে। এটাই আসলে শোভনীয়। তাই বাফুফে ভবনে নির্বাচন হচ্ছে।’