এএফসি কাপে বসুন্ধরার বাকি সব ম্যাচ মালদ্বীপে

766db45e49dec6872645ffd3a6369f4d-5eda24e155f56করোনাভাইরাসের কারণে এএফসি কাপের খেলা স্থগিত হয়ে পড়েছিল। করোনা-বিরতির পর আবারও মাঠে গড়াচ্ছে খেলা। তবে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক টুর্নামেন্টের ‘ই’ গ্রুপের খেলা এবার অনুষ্ঠিত হবে একটি ভেন্যুতেই!

বাংলাদেশ থেকে এই টুর্নামেন্টে খেলছে বসুন্ধরা কিংস। এরইমধ্যে ম্যাচের তারিখ ও ভেন্যুসহ সবকিছুই চূড়ান্ত হয়ে গেছে। করোনার আগে এএফসি কাপের প্রথম ম্যাচে বসুন্ধরা ৫-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টস ক্লাবকে। সেই ম্যাচটি হয়েছিল ঢাকায়। তবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি) জানিয়েছে, ‘ই’ গ্রুপে বসুন্ধরা কিংসকে বাকি ম্যাচগুলো খেলতে হবে মালদ্বীপে গিয়ে। সেখানে গ্রুপের ম্যাচগুলো হবে ২৩ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত।

২৩ অক্টোবর সেই দেশের মাঝিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলবে বসুন্ধরা। এছাড়া ৪ নভেম্বর এই দলটির বিপক্ষেই তাদের শেষ ম্যাচ। মাঝে ২৬ ও ২৯ অক্টোবর ভারতের চেন্নাই সিটি এবং ১ নভেম্বর টিসি স্পোর্টসের বিপক্ষে খেলতে হবে বসুন্ধরাকে।

করোনা পরিস্থিতিতে ভেন্যুর জন্য একমাত্র মালদ্বীপ ছাড়া অন্য কোনও দেশই আবেদন করেনি। তাই সব শর্তপূরণ করায় এই গ্রুপের জন্য মালদ্বীপকেই ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে এএফসি। তবে মালদ্বীপে খেলতে হলে বসুন্ধরা কিংবা চেন্নাইয়ের খেলোয়াড়দের দু’দফা কোভিড-১৯ টেস্টের মুখোমুখি হতে হবে। প্রথমটি নিজ দেশ ছাড়ার আগে। পরেরটি মালেতে গিয়ে। 
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের(বাফুফে) সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ এ প্রসঙ্গে বলেছেন , ‘এএফসি কাপে মালদ্বীপ ছাড়া অন্য কোন দেশ ভেন্যু হতে আবেদন করেনি। তাই সেখানেই খেলা হবে। এছাড়া সকল অংশগ্রহণকারী দলকে নিয়ম-কানুন মানতে হবে। এরজন্য তাদের দুইদফা কোভিড-১৯ টেস্টও করতে হবে।’

এছাড়া কাপের বাকি ম্যাচ খেলার জন্য এএফসির কাছ থেকে যাতায়াত বাবদ ৪০ হাজার ডলার করে পাবে বসুন্ধরা ও চেন্নাই। থাকা-খাওয়ার জন্য আরও ৯০ হাজার ডলার করে পাবে দুই দল।