লিওনেল মেসি বাঁ প্রান্তে দুর্দান্ত এক পাস দিয়েছিলেন জর্ডি আলবাকে। আলবার ক্রস সরাসরি পায়ে পেয়ে দুই মিনিটের মধ্যেই ‘গ্রিজির’ ফিনিশ। এত দ্রুত গোল করেও সংখ্যায় তা বাড়াতে পারেনি বার্সেলোনা। গ্রিজির সামনে সুযোগ এসেছিল আরও। সুযোগ পেয়ে ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং, আনসু ফাতিও কাজে লাগাতে পারেননি। মেসি ফ্রি-কিক উড়িয়ে মেরেছেন ক্রসবারের ওপর।
নতুন কোচ রোনাল্ড কোম্যান আক্রমণাত্মক মানসিকতা দেখিয়েছেন প্রথম একাদশে মেসি, গ্রিজমান, ফিলিপ্পে কুতিনিয়ো এবং আনসু ফাতিকে রেখে। আক্রমণাত্মক ঝলকও অনেক দেখিয়েছে বার্সেলোনা। কিন্তু দুশ্চিন্তার ব্যাপার অ্যাটাকিং থার্ডে ফিনিশিং দুর্বলতা। এলচের একটির বিপরীতে লক্ষ্যে ১০টি শট রেখেও গোল মাত্র একটি। এত এত সুযোগ লা লিগার প্রতিটি ম্যাচেই আসবে না। সামনের রবিবার ভিয়ারিয়ালের সঙ্গে নিজেদের শুরুর ম্যাচেই সেই উপলব্ধি বার্সার হয়ে যেতে পারে।
প্রথম ৪৫ মিনিট পর বার্সার খেলায় ফিরে এসেছিল ‘সেতিয়েন-লক্ষণ’; বলের দখলে প্রবলভাবে এগিয়ে থাকা, কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে আর খেই নেই। পাল্টা আক্রমণে ভয়ও ছড়িয়েছিল এলচে। বার্সেলোনার রক্ষণ প্রচুর ফাঁকা জায়গা দেয় তাদের, কিন্তু অনভিজ্ঞ প্রতিপক্ষের সামনে স্রেফ পার পেয়ে গেছে। সেভিয়া-ভ্যালেন্সিয়ার মতো দল পিকে-লেংলেকে ছাড়বে না। ঘণ্টাখানেক পরই কোম্যান বদলি নামান তিনজনকে। বুসকেটস ও গ্রিজমানের জায়গায় নামেন মিরালেম পিয়ানিচ ও ফ্রান্সিসকো ত্রিঙ্কাও। ফাতির বদলে ওসমান ডেম্বেলে।
এরপর মাঠে শুধুই লাল-নীল জার্সির ঝলক। মনে হচ্ছিল দ্বিতীয় গোলটা সময়ের ব্যাপার। অসাধারণ সেভ করে ত্রিঙ্কাওকে গোল পেতে দেননি এলচে গোলকিপার এডগার বাদিও। একেবারে শেষদিকে বার্সা গোলকিপার নেটোও একটা সেভ করে সমতা ফেরাতে দেননি প্রতিপক্ষকে।