নেপালের বিপক্ষে জয়ই মূল লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়ার

 

জামাল ভূঁইয়া।ছুটিতে যেখানেই থাকুন না কেন, ফুটবলই তার ধ্যান-জ্ঞান। সেটা হোক ডেনমার্ক কিংবা অন্য কোন দেশ। তাই নিয়ম করে অনুশীলন করতে ভুল করেন না বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে ভাতিজা দিয়েগো রাফান ভূঁইয়ার সঙ্গে অনুশীলনের কিছু মুহূর্ত ভাগাভাগি করেছেন। সেখানে রাফান বল ঠেলে দিচ্ছেন আর জামাল দূরবর্তী পোস্টে একের পর এক লক্ষ্যভেদ করে যাচ্ছেন। এতে বুঝাই যায়, নেপাল মিশনকে সামনে রেখে কতটা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জামাল।

করোনা পরিবর্তী সময়ে আবারও আন্তর্জাতিক ফুটবলে ফিরতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ফিফা নির্ধারিত সময়ে আগামী ১৩ ও ১৭ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে হবে দুটি ম্যাচ। ম্যাচগুলিকে সামনে রেখে আপাতত কোপেনহেগেনে ঘাম ঝরাচ্ছেন এই মিডফিল্ডার। আগামী ২৯ অক্টোবর ফেরার কথা রয়েছে ঢাকায়। এর পরেই জীবন-সুফিলদের সঙ্গে একই ক্যাম্পে যোগ দেবেন।

জামাল গত মার্চে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ডেনমার্কে। এসময়ে ডেনমার্ক ছাড়াও স্ত্রীর আবাসস্থল জার্মানিসহ বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়িয়েছেন। লা-লিগায় বিশ্লেষণ করার জন্য ছুটতে হয়েছেও স্পেনেও। বাংলা ট্রিবিউনের কাছে নিজের সাম্প্রতিক অবস্থাসহ নানান বিষয়ে কথা বলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘আমি ভালো আছি। করোনাতে পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাচ্ছি, সঙ্গে স্ত্রীও ছিল। এছাড়া এখানে নিজের মতো করে অনুশীলনও করে যাচ্ছি। যতটুকু পারছি ফিট থাকার চেষ্টা করছি। আমি ২৯ অক্টোবর ঢাকায় আসতে পারি। এসেই সবার সঙ্গে ক্যাম্পে যোগ দেবো।’

সাত মাস ধরে খেলার মধ্যে নেই ফুটবলাররা। এতো দিন খেলা না থাকায় মাঠে নামার জন্য মুখিয়ে আছেন ফুটবলাররা। জামালের উপলব্ধিও ঠিক তেমন, ‘অনেক দিন পর খেলার সুযোগ এসেছে। এটা ভালো দিক। আমরা এই সুযোগটা কাজে লাগাতে চাই। আবারও মাঠের লড়াইয়ে ফিরতে চাই।’

সবশেষ সাফ ফুটবলে ঢাকার মাঠে নেপালের কাছে ২-০ গোলে হারতে হয়েছিল জেমি ডের দলকে। সেই হারের যন্ত্রনা এখনও পোড়ায় জামালদের। তাই আসন্ন দুটি ম্যাচে নিজেদের লক্ষ্য নির্ধারণ করে ফেলেছেন ডেনমার্ক প্রবাসী এই ফুটবলার। এখন জয় ছাড়া অন্য কিছু ভাবছেন না তিনি, ‘সাফ ফুটবলে নেপালের কাছে ভালো খেলেও হেরেছিলাম। সেটা এখনও মনে আছে। আসছে দুটি ম্যাচে তাদের বিপক্ষে আমরা জয়ের লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামবো। তবে আমি এটাকে প্রতিশোধের ম্যাচ হিসেবে দেখতে চাই না। জয়ই আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে।’

নভেম্বরে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ শেষেই আবার ঘরোয়া ফুটবলের প্রস্তুতি নিতে হবে। সেখানে পারিশ্রমিক নিয়ে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে, তাতে মোটেও খুশি হতে পারেনি জামাল। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগের চুক্তির ৩৫ ভাগ পাবেন নতুন মৌসুমে। জামাল তাই পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়ে বলেছেন, ‘আপনার বেলাতে এমন পারিশ্রমিক হলে কী খুশি হতেন? আমার বেলাতে বলবো খুশি হইনি। হয়তো কোভিডের কারণে ক্লাবগুলোর ক্ষতি হয়েছে বলে পারিশ্রমিক কমিয়েছে। ফেডারেশন তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

করোনার সময়ে খেলা না থাকলেও লা লিগায় ৮টি ম্যাচে বিশ্লেষণ করেছেন জামাল। সেজন্য স্পেনেও উড়ে যেতে হয়েছে তাকে। সেখানে জো মরিসনের সঙ্গে বিশ্লেষণে অংশ নিতে পেরে জামাল ভীষণ আনন্দিত, ‘লা লিগায় ৮টি ম্যাচে বিশ্লেষণ করেছি, স্পেনে গিয়েছি। অনুভূতির কথা বলতে গেলে বলতে হবে ভালো লেগেছে। ভালো হোটেলে ছিলাম, ভালো পারিশ্রমিক পেয়েছি। সব মিলিয়ে অভিজ্ঞতা ভালোই হয়েছে।’