বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শুরু থেকে বাংলাদেশ আক্রমণে এগিয়ে থাকে। জেমি ডের ৪-২-৩-১ ফর্মেশনে খারাপ করেনি দল। নেপালের বিপক্ষে আধাডজন আক্রমণ গড়ে যদিও গোল এসেছে মাত্র একটি! ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষ বারবার লম্বা থ্রো-ইন করে প্রতিপক্ষকে ভয় ধরিয়েছেন। এছাড়া আক্রমণে সাদ উদ্দিন-নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সুমন রেজার কম্বিনেশনও ভালো করেছে। নেপাল মাঝে-মধ্যে আক্রমণ গড়েও সফল হতে পারেনি। আগের সেই নেপাল ঝলক এবার এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
ম্যাচের ৯ মিনিটে বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে তপু বর্মণ হেড নিতে পারেননি। পরের মিনিটে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। নাবীব নেওয়াজ জীবনের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গোল দেওয়ার ইতিহাস কমই। তবে অনেকদিন পর সফল হয়েছেন আবাহনীর স্ট্রাইকার। ডান প্রান্ত থেকে সাদউদ্দিন দুই ডিফেন্ডারকে বডি ডজ দিয়ে ছিটকে দিয়ে গোলমুখে ক্রস করলে জীবন নিঁখুত স্লাইডে লক্ষ্যভেদ করেন( ১-০) । ২১ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুন হতে পারতো। জীবনের ক্রসে ইব্রাহিম হেড নিলেও এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। ২৩ মিনিটে বিশ্বনাথের থ্রো-ইন থেকে তপুর হেড পোস্টের বাইর দিয়ে যায়। ২৭ মিনিটে মানিক মোল্লার দূরপাল্লার শট গোলকিপার কিরণ কুমারের হাত ছুঁয়ে ক্রসবার ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ২৫ গজ দূর থেকে নেওয়া শট। ৩২ মিনিটে সাদের ক্রসে জীবনের ভলি শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। এভাবেই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ ও নেপাল। বাংলাদেশ দল আনিসুর রহমান জিকো,তপু বর্মণ,বিশ্বনাথ ঘোষ,রহমত মিয়া,রিয়াদুল হাসান,জামাল ভূঁইয়া,মানিক মোল্লা,ইব্রাহিম,সাদ উদ্দিন,নাবীব নেওয়াজ জীবন ও সুমন রেজা।