কাতারকে জিততে দেবে না বাংলাদেশ!

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন জেমি ডে।করোনাভাইরাসের প্রভাবে এই বছর বিশ্বকাপ ও এশিয়ান কাপ বাছাই পর্বের ম্যাচ শুরুতে স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। আগামী বছরের শুরুতে সেটি পুরোপুরি আয়োজনের পরিকল্পনা। কিন্তু হঠাৎ করে ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজক কাতারের অনুরোধ এলো বাংলাদেশে। তারা এই বছরই বাছাইয়ের একটি ম্যাচ খেলতে চায়। সেই অনুরোধ ফেলতে পারেনি বাফুফে। আগামীকাল শুক্রবার ‘ই’ গ্রুপে কাতারের মুখোমুখি হবে জামাল ভূঁইয়ারা। আব্দুল্লাহ বিন খলিফা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় শুরু এই ম্যাচ। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলা টিভি ও টি স্পোর্টস।

জেমি ডের শিষ্যরা সেখানে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও কাতার মোটেও সমমানের দল নয়। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন তারা। এছাড়া ফিফা ‌র‌্যাঙ্কিংয়েও অনেক এগিয়ে, ৫৯। অন্যদিকে বাংলাদেশ আছে ১৮৪তম স্থানে। দুই দল এই পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে পাঁচবার। এরমধ্যে ২০০৬ সালে এশিয়ান কাপের বাছাই পর্বে ১-১ গোলে ড্র হলো বড় প্রাপ্তি। বাকি ম্যাচগুলোয় বাংলাদেশ হেরেছে ৪-০, ৪-১, ৩-০ ও ২-০ গোলে।

এই তো গত বছরের অক্টোবর ঢাকায় অনুষ্ঠিত শেষ ম্যাচটিতেও হার ছিল সঙ্গী। কিছুটা কর্দমাক্ত মাঠ হওয়ায় জামাল-জীবনরা লড়াই করেছিল ঠিকই। কিন্তু প্রতি আক্রমণে ওঠে গোল করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় জামালরা হেরেছে ২-০ গোলে।

এবারও সেই প্রত্যয়ের ব্যতিক্রম হচ্ছে না। পাঁচ সপ্তাহের প্রস্তুতি নিয়ে পুনরায় লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন কোচ জেমি ডে। অবশ্য করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি অনুশীলনে ছিলেন না দীর্ঘদিন। সুস্থ হওয়াতে এখন দলের সঙ্গে রয়েছেন দোহায়। এক ভিডিও বার্তায় জেমি বলেছেন, ‘ছেলেরা ভালোভাবে অনুশীলন করেছে শেষ পাঁচ সপ্তাহ। এখানেও ভালো প্রস্তুতি হয়েছে। আমরা হয়তো অনুশীলন ও ম্যাচ খেলার আরও সুযোগ পেতাম। তবে যেই সময় পেয়েছি, তাতেও সবাই সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে। আমরা ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছি।’

ম্যাচটা যে কঠিন হবে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ডেও মনে মানেন তা। তাই তিনি সর্বোচ্চটা দেওয়ার পক্ষে, ‘এটা ভালো ম্যাচ হতে যাচ্ছে। খেলাটা সহজ হবে না। ছেলেদের ভালো অভিজ্ঞতা হবে, তবে আমাদের সামর্থ্যের সর্বোচ্চটা দিতে হবে। তাহলেই বাংলাদেশ গর্বিত হবে।’

তাই লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জেমি ডে একভাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন কাতারকে, ‘বাস্তবতা হচ্ছে কাতার হলো এশিয়ার সেরা দল। তাদের জেতা উচিত। যদি তারা না জিতে, সেটা হতাশাজনক। অর্থাৎ আমাদের জন্য নিশ্চিত করতে হবে ভালো খেলে যেন ওদের জন্য ম্যাচটা দুরূহ করে তুলতে পারি। যেন ওরা ফলটা না পায়। যে কেউ একটা সুযোগ পেলে তা কাজে লাগাতে পারে। এটা কঠিন ম্যাচ, কাতার জয় চাইবে। আর আমরা আমাদের সেরাটা দেবো।’

আর সেই লড়াইয়ের জন্য ঢাকায় অনুষ্ঠিত সবশেষ ম্যাচ থেকেই প্রেরণা খুঁজে নিচ্ছেন বাংলাদেশের ইংলিশ কোচ, ‘কাতারের বিপক্ষে আমরা শেষ ম্যাচটা ভালো খেলেছি। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা নিজেদের মাঠে ভালো খেলেও হেরেছি। কাতারেও আমাদের অনেক ভালো খেলতে হবে। যার জন্য পাঁচ সপ্তাহ ধরে পরিশ্রম করে যাচ্ছি। আমরা লড়াইয়ের জন্য তৈরি।’