৫০তম টেস্টে স্মরণীয় কিছু করতে চান মুশফিক

মুশফিক২০০৫ সালের ২৬ মে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয়েছিল মুশফিকের। এরপর হাটি হাটি পা করে ৫০তম টেস্টের দ্বারপ্রান্তে তিনি। যেই লক্ষ্যে শুক্রবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষেই ৫০তম টেস্ট খেলতে নামবেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক। বাংলাদেশের হয়ে মুশফিক ছাড়া ৫০ টেস্ট খেলার রেকর্ড আছে মাত্র দুইজনের। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল খেলেছেন ৬১টি এবং আরেক সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন খেলেছেন ৫০টি টেস্ট।

তাই স্বাভাবিকভাবেই ৫০তম টেস্ট খেলতে নামার আগে রোমাঞ্চিত মুশফিক। শুক্রবার এই মাইলফলকে পৌঁছানোর ম্যাচে স্মরণীয় কিছু করতে চান তিনি, ‘খুবই ভালো লাগছে। বাংলাদেশে ৫০টি টেস্ট খেলা খুব সহজ নয়। চেষ্টা করবো ব্যক্তিগতভাবে ভালো খেলতে এবং দল যেন ভালো করে। দলের ভালোর জন্য আমার যা যা করা দরকার আমি তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।’

২০০৫ সালেই মুশফিক প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে সুযোগ পান। আর ইংল্যান্ডের মাটিতে ওটাই ছিল বাংলাদেশের প্রথম সফর। অপরিচিত পরিবেশ এবং স্বাগতিকদের পেস বোলিং মোকাবেলায় বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের স্বাভাবিকভাবেই যথেষ্ট ভুগতে হয়েছিল। প্রস্তুতিমূলক ম্যাচ খেলে মুশফিক পরিবেশের সঙ্গে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিয়েছিলেন। প্রস্তুতি ম্যাচে ইংলিশ কাউন্টি দল সাসেক্সের বিপক্ষে তিনি ৬৩ রানের ইনিংসও খেলেছিলেন। অন্যদিকে আরেক কাউন্টি দল নটিংহ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে অপরাজিত ১১৫ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস উপহার দিয়েছিলেন।

খুব স্বাভাবিক ভাবেই প্রস্তুতি ম্যাচের পুরস্কার হিসেবে লর্ডসে অনুষ্ঠিত সিরিজের উদ্বোধনী টেস্টে স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে একাদশে জায়গা করে নেন মুশফিক।  যদিও নিজের অভিষেক ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১৯ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৩ রান করে আউট হয়েছিলেন।

তবে এই সময়ের মাঝে খুব কম টেস্ট খেলার আক্ষেপটা লুকিয়ে রাখেননি তিনি।  বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে মুশফিক বলেছেন, ‘দুঃখ তো অবশ্যই। শুধু আমার নয়, বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটারের দুঃখ যে টেস্ট আমরা খুবই কম খেলি। আমি অনেকবারই বলেছি, যত বেশি টেস্ট খেলব, তত বেশি শিখব। সামনের বছর আমাদের অনেক টেস্ট আছে। আশা করব, এই টেস্ট ভালো খেলতে পারলে মোমেন্টাম আমাদের থাকবে এবং দল হিসেবে আত্মবিশ্বাস থাকবে যে টেস্টেও আমরা ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলতে পারি।’

/আরআই/এফআইআর/