চট্টগ্রামের পর হায়দরাবাদে মুশফিক ম্যাজিক

258965একটু যেন সন্দিহান মুশফিক! উমেশ যাদবের বলটি ফ্লিক করেই দুই রানের জন্য ছুটলেন। দৌড় দিয়েছিলেন তাসকিনও। অবশ্য ফিল্ডার ইশান্ত শর্মার মিস ফিল্ডিংয়ে বলটি সীমানা ছাড়ায়। মুশফিক আম্পায়ারের কলের অপেক্ষা করেন, তাকান স্ক্রিনের দিকেও। এরপরেই ব্যাট উঁচিয়ে ধরেন। উদযাপন করলেন ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।

চট্টগ্রামের পর হায়দরবাদেও সেঞ্চুরি পেলেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। ভারতের বিপক্ষে মুশফিকের এটা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ১০১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। ওটা তার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ছিল। রবিবার রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ও ভারতের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।

ভারতের বিপক্ষে এই টেস্টে বাজে অধিনায়কত্ব ও বাজে কিপিং করে সমালোচিত হচ্ছেন টেস্ট অধিনায়ক। সেই সমালোচনার জবাবটা ব্যাট হাতে যথাসময়ে দিলেন তিনি। তার ব্যাটেই ফলোঅন এড়ানোর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

আগের দিনের ৮১ রান নিয়ে চতুর্থ দিন সকালে মাঠে নামেন মুশফিক। সঙ্গে অপরাজিত ছিলেন তরুণ ক্রিকেটার মেহেদী হাসান। শুরুর ওভারেই মেহেদী ফিরে গেলে ক্রিজে নামেন তাইজুল ইসলাম। তাকে নিয়ে অষ্টম উইকেটে ১৭ রানের জুটি গড়েন। তার আগে তৃতীয় দিনের গুরুত্বপূর্ণ ৮৭ রানের জুটি ভাঙে সকালের শুরুতেই।

মিরাজ-তাইজুল আউট হওয়ার পর তাসকিনকে সঙ্গে নিয়ে ধীরে ধীরে সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যেতে থাকেন মুশফিক। ২৩৫ বলে ১২ চার ও ১ ছক্কায় তিনি ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির মাইলফলকে পৌঁছান।

টেস্টে মুশফিকের সর্বোচ্চ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ২০১৩ সালে গল টেস্টে ২০০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাংলাদেশের উইকেট কিপার এই ব্যাটসম্যান। এছাড়া নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে টেস্টে খেলেছেন ১৫৯ রানের ঝকঝকে এক ইনিংস। বাকি দুটি সেঞ্চুরি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে কিংসটাউন টেস্ট (১১৬) ও ভারতের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টে (১০১)।

/আরআেই/এফআইআর/