১২৯ করেও আফগানিস্তানকে হারাল জিম্বাবুয়ে

জিম্বাবুয়ের জয়যাত্রার শুরুটা করেছিলেন চাতারাআফগানিস্তানের বিপক্ষে আগের দুই ম্যাচ হেরে খাদের কিনারায় ছিল জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় ম্যাচে হেরে গেলেই হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা ছিল ওয়ানডে সিরিজ। আর ব্যাটিং ইনিংস শেষেই হয়তো তাদের সিরিজ হারের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল স্বাগতিক ভক্তরা। কারণ মাত্র ১২৯ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ভেঙে পড়েনি তারা। ৩ রানে জিতে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ফিরল স্বাগতিকরা।

মঙ্গলবার হারারে স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথমবার ব্যাটিং পেয়েও নিজেদের মেলে ধরতে পারেনি স্বাগতিক ব্যাটসম্যানরা। ৪০ রানের মধ্যেই তারা ৫ উইকেট হারায়, যার চারটিই নেন আফগান পেসার ‍গুলবাদিন নাইব।

ম্যালকম ওয়ালারের সঙ্গে ৮১ রানের জুটি গড়ে ওই ঝড় সামাল দেন তারিসাই মুসাকান্দা। ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরি করে ৬০ রানে আউট হন মুসাকান্দা। এর পর ওয়ালার (৩৬*) একপ্রান্ত ধরে রাখলেও অন্যদের সহায়তা পাননি। ৮ রানের ব্যবধানে শেষ ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। আইপিএলে প্রথমবার ডাক পাওয়া গুগলি বোলার রশিদ খান টেল এন্ডারে ধস নামান। সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হওয়া এ আফগান নিজের পঞ্চম ও ষষ্ঠ ওভারে তিনটি উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে গুটিয়ে দেন। স্বাগতিকদের ৩২.৪ ওভারে অলআউট করতে বাকি তিনটি উইকেটের দুটি নেন ফরিদ আহমেদ, অন্যটি মোহাম্মদ নবীর।

লক্ষ্য যখন ১৩০, তখন সিরিজ জয়ের সুবাস বেশ ভালোভাবে পেয়েছিল আফগানিস্তান। মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা যতক্ষণ মাঠে ছিল ততক্ষণ কোনও সমস্যাই হয়নি তাদের। কিন্তু তেন্দাই চাতারার পেসের সঙ্গে শন উইলিয়ামস ও ক্রিস এমপোফুর ঘূর্ণিতে বিস্ময়করভাবে হার মানতে হয় সফরকারীদের। তারা তিনজনই তিনটি করে উইকেট নিয়ে ২৯.৩ ওভারের মধ্যে আফগানদের ১২৬ রানে গুটিয়ে দেন।

৫ উইকেটে ১০৭ রান করা আফগানিস্তান টানা চার ওভারে শেষ ৫ উইকেট হারায় মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে। সফরকারী অধিনায়ক আসগর স্তানিকজাই সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন।

এ হারের পরও আফগানিস্তান ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে থাকল। সূত্র- ক্রিকইনফো

/এফএইচএম/