দুই বছর আগে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। এবার চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে খেলেছে সেমিফাইনাল। বাংলাদেশের এই উন্নতির গ্রাফ নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। ইংল্যান্ডে সফল এক মিশন শেষে শনিবার দেশে ফিরে নিজেদের পারফরম্যান্সের ব্যাপারে সন্তুষ্টিই ঝরেছে মাশরাফির মুখে। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেও গেছেন, চ্যাম্পিয়ন ট্রফির অর্জন আগের সবকিছুকে ছাড়িয়ে।
বিশ্বকাপের সঙ্গে তুলনা করে ইংল্যান্ডের আসরকে এগিয়ে রাখলেন তিনি এই বলে, ‘বিশ্বকাপ তো বিশ্বকাপই। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার বিচারে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ভীষণ কঠিন। ওখানে গ্রুপ পর্ব পেরোনোই অনেক কঠিন। সেই জায়গায় আমরা সেমিফাইনাল খেলেছি। সেই হিসেবে আমি দুই বছর আগের (২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনাল) অর্জনের চেয়ে এবারের সাফল্যকে এগিয়ে রাখব।’
ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনাল হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মাশরাফি বারবার খেলোয়াড়দের মানসিকভাবে শক্তিশালী হওয়ার কথা বলেছেন। দেশে ফেরার পরও বললেন একই কথা, ‘আমাদের আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা আরও বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। বড় ম্যাচে কীভাবে নিজেদের মেলে ধরতে হয়, সেই জায়গায় উন্নতি করতে হবে আরও।’
একই সঙ্গে তরুণদের ওপর আস্থা রাখতে বলেছেন মাশরাফি। দুই বছর পর ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ যেহেতু ইংল্যান্ডেই বসবে, তাই এবারের অভিজ্ঞতা তখন তরুণদের সঙ্গে দলের প্রত্যেকেরই ভীষণভাবে কাজে লাগবে বলে মনে করেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সাফল্যের পথ ধরে বিশ্বকাপে ভালো করার আশায়ও থাকলেন মাশরাফি।
আইসিসির কোনও টুর্নামেন্টে প্রথমবার সেমিফাইনাল পর্যন্ত গিয়ে সেই আশা বাংলাদেশের সব ক্রিকেট ভক্তের মনেই আসলে গেঁথে দিয়েছে মাশরাফিরা।
/কেআর/