বিপিএলে দল পাননি যারা

বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট হয়েছে শনিবারশনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ বা বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফট। আকর্ষণীয় এই টি-টোয়েন্টি প্রতিযোগিতার পঞ্চম আসরে ৯৪ জন ক্রিকেটার দল পাননি।

ড্রাফটে ১৪০ জন দেশি ক্রিকেটারের দল পেয়েছেন মাত্র ৪৬ জন। উপেক্ষিতদের মধ্যে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করা ক্রিকেটারের সংখ্যা কম নয়। গতবারের মতো এবারও দল পাননি লেগস্পিনার জুবায়ের হোসেন। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার শামসুর রহমান শুভ, শাহাদাত হোসেন রাজীব, সোহরাওয়ার্দী শুভ, তুষার ইমরান, মার্শাল আইয়ুব, এনামুল হক জুনিয়র, জুনায়েদ সিদ্দিককেও দেখা যাবে না এবারের বিপিএলে।

শামসুর রহমানের উত্থান বিপিএল থেকেই। প্রথম আসরে সেরা উদীয়মান ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছিলেন তিনি। গতবার খেলেছিলেন বরিশাল বুলসের জার্সি গায়ে। আর্থিক শর্ত পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় বরিশাল বাদ পড়েছে এবারের আসর থেকে। সাম্প্রতিক ফর্মহীনতার কারণে শামসুরের ওপরেও আস্থা রাখতে পারেনি কোনও দল।

গত আসরেও শুরুতে অবিক্রিত ছিলেন পেসার শাহাদাত। পরবর্তীতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স তাকে দলে নিয়েছিল। তবে এবার তারাও শাহাদাতের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি।

সোহরাওয়ার্দী শুভ গতবার খেলেছিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে। তবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা এবার তাকে দলে রাখেনি। অন্য কোনও দলও আগ্রহ দেখায়নি এই ওপেনারের ব্যাপারে।

ঘরোয়া ক্রিকেটে অন্যতম ধারাবাহিক ব্যাটসম্যান নাঈম ইসলাম। চলমান জাতীয় ক্রিকেট লিগের উদ্বোধনী দিনেই দারুণ এক সেঞ্চুরি এসেছে তার ব্যাট থেকে। বিপিএলের গত আসরে নাঈম ছিলেন রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক। অথচ এবার তিনি দলই পাননি!

জুনায়েদের বাদ পড়াও কম বিস্ময়ের জন্ম দেয়নি। জাতীয় দলে তার ক্যারিয়ার শুরু টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট হিসেবে। বিপিএলের গত আসরে শুরুতে দল না পেলেও প্রতিযোগিতার মাঝপথে একজনের ইনজুরি তাকে ‍সুযোগ এনে দিয়েছিল রাজশাহী কিংসে। এবারও হয়তো তেমন প্রত্যাশাই করছেন এই বাঁহাতি ওপেনার।