‘সেঞ্চুরি’র অপেক্ষায় মিরপুর স্টেডিয়াম

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়াম। ছবি-বিসিবি১৯৮০ সালে ফুটবলের জন্য নির্মিত হয়েছিল মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। তবে ২০০৪ সালে ক্রিকেটের জন্য বরাদ্দ হয় স্টেডিয়ামটি। ২০০৬ সালের ৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় মিরপুর স্টেডিয়ামের। বুধবার ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ের লড়াই হবে এই স্টেডিয়ামের শততম ওয়ানডে। ষষ্ঠ স্টেডিয়াম হিসেবে এমন গৌরবের অংশীদার হতে যাচ্ছে ২৫ হাজার ধারণ ক্ষমতার ‘হোম অব ক্রিকেট’।   

একসময় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফুটবল-ক্রিকেট দুটোই হতো। তবে ২০০০ সালে টেস্ট মর্যাদা পাওয়ার চার বছর পর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি) দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ৯৯টি ওয়ানডের মধ্যে বাংলাদেশ খেলেছে ৮৩টি ম্যাচ। এর মধ্যে টাইগাররা জিতেছে ৩৯টি, হার ৪৩টি আর একটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে।

মিরপুরের প্রথম ওয়ানডেতে খেলা মাশরাফি মুর্তজা, সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম এখন বাংলাদেশ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তবে তাদের দুর্ভাগ্য, ইতিহাসের সাক্ষী হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। সেদিক দিয়ে জিম্বাবুয়ের হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেলর ও ক্রিস্টোফার এমপোফু ভাগ্যবান। তিনজনই খেলেছিলেন মিরপুরের প্রথম ম্যাচে। ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে জিম্বাবুয়ের ওপেনার মাসাকাদজা উচ্ছ্বসিত, ‘ইতিহাসের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। প্রথম ম্যাচের মতো মিরপুরের শততম ম্যাচেও খেলার সুযোগ পাচ্ছি।’

সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছে শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, ২৩১টি। তালিকায় এর পরে আছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড (১৫৪), মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (১৪৭), হারারে স্পোর্টস ক্লাব (১৩৬) এবং কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়াম (১২৪)। তবে সবচেয়ে কম সময়ে ১০০ নম্বর ওয়ানডে হচ্ছে মিরপুরেই।

টাইগারদের অনেক সাফল্যের সাক্ষী শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। ২০১০ সালে নিউজিল্যান্ড আর তিন বছর পর পাকিস্তানকে এই মাঠেই হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। ভারত আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ এবং অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট জয়ও এসেছে মিরপুরে।